তামিমের ইনিংসটি 'স্পেশাল' হতে পারবে?

বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দিনটাকে তামিমের হতে দেয়নি। ছবি: এএফপি
বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দিনটাকে তামিমের হতে দেয়নি। ছবি: এএফপি

প্রথম সেশনেই ৮৬ রান, সেঞ্চুরিটা পেতে দ্বিতীয় সেশনেও খুব একটা সময় নেননি তামিম ইকবাল। সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ দিন শেষে সে দলই এখন মাথা কুটে মরছে। প্রথম দিনেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই, সেটা বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে নেতিবাচকই। তবু তামিম আশা করছেন, তাঁর এমন দুর্দান্ত ইনিংসটি হৃষ্টচিত্তে স্মরণ করতে পারবেন। টেস্টের বাকি দিনগুলোতে সে চেষ্টা করবে দল।

প্রথম দিন শেষে ১০ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের চেয়ে মাত্র ১৪৮ রানে পিছিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিক দলকে তাই অকপটেই এগিয়ে রাখছেন তামিম, ‘ম্যাচের অবস্থা সত্যি বলতে ওরাই সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। আমরা ২৪০ রানের মতো করেছি। ওরাও প্রথম দিন শেষে ৯০ (৮৬) রানের মতো করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে। কালকে ওরা আবার নামবে ব্যাটিং করতে। এই অবস্থায় যদি বলতে হয় তাহলে অবশ্যই তারা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। আমাদের সুযোগ ছিল দিনটাকে ভালোভাবে শেষ করার বা একটা বড় পার্টনারশিপ করার যেটা আমরা করতে পারিনি। এর দায় শুধুই আমাদের।’

দলের দায়টা নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেও দুর্দান্ত ১২৬ রানের ইনিংসটির মূল্য কমছে না তামিমের কাছে। ওয়ানডে সিরিজের ফর্ম, কন্ডিশন ও ব্যাটিংয়ের ধরন মিলিয়ে এ সেঞ্চুরিকে বিশেষ দৃষ্টিতেই দেখছেন বাংলাদেশের ওপেনার, ‘আমার সেঞ্চুরিগুলোকে আমি কখনো মূল্যায়ন করতে চাই না। করতে পছন্দ করি না। তবুও বলব এই সেঞ্চুরিটা আমার কাছে স্পেশাল। কেননা আমি যেভাবে আমি ব্যাটিং করেছি, যে ধরনের ক্রিকেটিং শট খেলেছি তাতে আমি অনেক সন্তুষ্ট। আর এ ইনিংসকে আরও ভালোভাবে মনে রাখার ব্যবস্থা করতে চাইলে কী করতে হবে সেটাও বলে দিলেন, আমি যে ধরনের ব্যাটিং করেছি, যেসব শট খেলেছি সেসব কারণেই এই ইনিংসটা আমার জন্য স্পেশাল। এটা আরও স্পেশাল হতে পারে যদি আমরা এই টেস্টে ভালো করতে পারি। আর ভালো না করতে পারলে তো...’

ইনিংসের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক তামিম সেঞ্চুরির পরও আগ্রাসী ছিলেন। ১২৮ বলে ১২৬ রানের ইনিংসে সেঞ্চুরির পরও তিন চার ও এক ছক্কা মেরেছেন। এটা যে পরিকল্পনারই অংশ ছিল সেটা স্বীকার করেছেন, ‘আমি যেটা চিন্তা করছিলাম যখন টিম সাউদি ওদিক থেকে বল করতে আসছিল, তখন আমি যে দিকে থেকে পুল করছিলাম ও সময় ‘‘উইথ দ্য উইন্ড’’ ছিল। আর ওই সাইডটা একটু ছোট সাইডও ছিল। তাই আমার মনে হয়েছে যদি আমাকে চান্স নিতে হয় তাহলে এইখান থেকে চান্স নেওয়াটাই আমার জন্য সুবিধাজনক। আর আমার কাছে যেটা মনে হয় আপনাকে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করতে হবে, আপনাকে ডাক করতে হবে, সিঙ্গেল নিতে হবে। তখন আপনার মাইন্ডেও ফ্রেশ থাকে। আশা করছি আমরা এই টেস্টে ভালোভাবে ফেরত আসব।’

তামিমের আশা এখন পূরণ হলেই ভালো! যদিও এখন প্রাথমিক দায়িত্বটা বোলারদের।