বাংলাদেশের বোলারদের ঘাটতি কোথায়?

আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে ওয়ালশ। ছবি: বিসিবি
আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে ওয়ালশ। ছবি: বিসিবি
>হ্যামিল্টন টেস্টে ইনিংস ও ৫২ রানে হারা বাংলাদেশের প্রাপ্তি, তিনটা সেঞ্চুরি। ব্যাটিংয়ে তবুও কিছু আছে। বোলিংয়ে সেটাও নেই। যে দলের পেস বিভাগ দেখছেন কোর্টনি ওয়ালশের মতো কিংবদন্তি, তাঁর কাছে এই নখদন্তহীন বোলিংয়ের ব্যাখ্যা কী?

হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি। ব্যাটিং বিভাগে তবুও সান্ত্বনা আছে। বোলিংয়ে? শূন্য হাতে হ্যামিল্টন থেকে ওয়েলিংটনে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তিন তরুণ পেসার—আবু জায়েদ, ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদ কোনো আঁচড়ই ফেলতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানদের গায়ে। আরামে খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭১৫ রানের বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওপর। যে দলের পেস বিভাগ দেখছেন কোর্টনি ওয়ালশের মতো কিংবদন্তি, তাঁর কাছে এই নখদন্তহীন বোলিংয়ের ব্যাখ্যা কী?

ওয়ালশকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি অনেকবারই হতে হয়েছে। সাদা পোশাকে ফাস্ট বোলিংটা যে সাফল্যের চেয়ে হতাশাই বেশি উপহার দিয়ে চলেছে। প্রতিভা-সামর্থ্যে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি তাঁর ছাত্রদের কিছুতেই পিছিয়ে রাখতে চান না। ঘাটতি কোথায় সেটি সংবাদমাধ্যমকে বললেন ওয়ালশ, ‘বাংলাদেশে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার আছে। সমস্যা হচ্ছে, তাদের অভিজ্ঞতার অভাব। ম্যাচের কিছু কিছু সময় আছে যখন আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। যেটা বললাম অনভিজ্ঞরা খেলছে। তবে তাদের সামর্থ্য আছে। প্রতিভা আছে। প্রথম সেশনে নতুন বলে সেটা তারা করে দেখিয়েছেও। আমরা যেভাবে বোলিং করেছি যেকোনো কিছুই হতে পারত। ওদের সামর্থ্য কিংবা প্রতিভাই যদি না থাকত তবে আমি বলে দিতাম যে ওদের এটা নেই। সমস্যা হচ্ছে ধারাবাহিকতার অভাব, আর এটা হচ্ছে অভিজ্ঞতার অভাবে। মাঠে ও মাঠের বাইরে তাদের সহায়তা ও নির্দেশনা দরকার। আর সেটা করতেই আমরা আছি। যতটা পারি তাদের সহায়তা করছি। তাদের আরও ধারাবাহিক করতে চাই।’

হ্যামিল্টন টেস্ট নিয়ে পড়ে থাকার সময় নেই। ৮ মার্চ থেকে শুরু ওয়েলিংটন টেস্ট। হ্যামিল্টনে তীব্র বাতাস, বৃষ্টি—নিউজিল্যান্ডের প্রথাগত কঠিন কন্ডিশনে না খেলতে হলেও ওয়েলিংটনে সেটি হয়তো হবে না। ওয়ালশের আশা, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের পেসাররা ওয়েলিংটনে কিছু করে দেখাবেন, ‘স্কোরকার্ডে যেভাবে ৭০০ রান উঠেছে, তাদের জন্য এটা বলার মতো কোনো ম্যাচ নয়। একেবারেই অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ। নিউজিল্যান্ড জানে কন্ডিশন কেমন। তারা অনেক ভালো খেলেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারের চেয়ে ওদের ধৈর্য অনেক বেশি। কিছু ভালো স্পেল করেছি আমরা, তবে ব্রেক থ্রু পাইনি। এই ধরনের উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান একবার থিতু হয়ে গেলে তাদের আউট করা কঠিন। প্রথম ইনিংসে তাদের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই বড় রান করেছে। আশা করি আমাদের ছেলেরা এখান থেকে শিখেছে এবং পরের টেস্টে আরও ভালো করবে। নিউজিল্যান্ড যেভাবে খেলেছে কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে। ওরা খুব খুব ভালো ব্যাট করেছে। এই উইকেটে একবার থিতু হয়ে গেলে যে আউট হওয়া কঠিন সেটা আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে দেখিয়েছি।’