হাসিখুশি সানি শ হঠাৎই উদাস

সানি শ, নিউজিল্যান্ডের নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার। ছবি: উৎপল শুভ্র
সানি শ, নিউজিল্যান্ডের নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার। ছবি: উৎপল শুভ্র

গত দুদিন ‘বাংলা ভুয়া’র উত্তরে ‘নিউজিল্যান্ড ভুয়া’ বলে চিৎকার করেছি। আজ তা না করে শুধু হাসলাম। এই মাত্র নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা পঞ্চম টেস্ট সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। আজ কীভাবে বলি, ‘নিউজিল্যান্ড ভুয়া’? প্রথম দুদিন বৃষ্টির কারণে ‘তিন দিনের টেস্ট’ হয়ে যাওয়ার পরও ভর দুপুরে পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশন হচ্ছে, ইনিংসে হেরেছে বাংলাদেশ—কীভাবে ‘বাংলাদেশ ভুয়া’ বলে চিৎকারের প্রতিবাদ করি?

তা এই চিৎকার কে করছেন? আর কে, সানি শ। যাঁকে অনায়াসে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ‘নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার’ মর্যাদায় অভিষিক্ত করা যায়! শুধু নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাপোর্টার বলাটা অবশ্য অন্যায় হলো। শুধু তো ক্রিকেট নয়, নিউজিল্যান্ডের যেকোনো খেলায়ই গ্যালারিতে তাঁর অবধারিত উপস্থিতি। ক্রিকেট, রাগবি, নেটবল, ইয়টিং, রোয়িং—কোন খেলায় তিনি নেই! অলিম্পিক গেমসে যান, কমনওয়েলথ গেমসেও। নিউজিল্যান্ড যখন খেলে, তখন ফুটবল বিশ্বকাপেও। বুকে ঝোলানো একটা কিউই পাখি, হাতে নিউজিল্যান্ডের বিশাল একটা পতাকা, চোখে সানগ্লাস—এই চেহারাটা তাই চেনা হয়ে গেছে টেলিভিশন দর্শকদের। একদিন-দুদিন তো নয়, সানি শ নিউজিল্যান্ড দলের পিছু পিছু সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে।

কিউই পাখির কথা উঠলই, তা নিয়ে একটু বলে নিই। সানি শর বুকে ঝুলতে থাকা যে কিউই পাখির কথা বলছি, সেটি যে আসল নয়, তা কি বলার প্রয়োজন আছে? প্রশ্নটা করার একটাই কারণ, কিউই পাখি যে চাইলেই পাওয়া সম্ভব নয়, সেটি কারও জানা থাকলে বিরক্তির ভয়! কিউই পাখি আর উট পাখি সমগোত্রীয়। জীববিজ্ঞানের গোত্রবিন্যাসের নিয়ম কী বলে জানি না, কথাটা সে অর্থে বলিওনি। আমি সমগোত্রীয় বলছি, দুটিই শুধু নামেই ‘পাখি’ বলে। উড়তে না পারলে আবার পাখি কিসের!

মাঝে মধ্যে অবশ্য এতে সুবিধাও হয়। সাংবাদিকদের হেডিং করতে সুবিধা। যা বলতে গিয়ে অনেক দিনের আগের একটা প্রচ্ছদ চোখে ভেসে উঠল। ১৯৮৮ সালে ভারত সফরে সিরিজের প্রথম টেস্টে যা-তা ভাবে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে আবার দল আক্রান্ত হয়েছে সেই সময়ে উপমহাদেশ সফরে খুব পরিচিত ‘দিল্লি বেলি’তে। এই কথাটা এখন আর শোনাই যায় না বলে বুঝতে হয়তো সমস্যা হচ্ছে। এখানে ‘বেলি’ মানে পেট, ‘দিল্লি বেলি’ মানে ভারতে গিয়ে উদরাময়ে আক্রান্ত হওয়া। সেবার নিউজিল্যান্ডের অবস্থা এমনই খারাপ যে, মুম্বাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ফিল্ডিং করার জন্য ১১ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না। জেরেমি কোনি ঠিক আগের বছরই খেলা ছেড়েছেন। ভারতে গেছেন ধারাভাষ্যকার হিসাবে। কমেন্ট্রি বক্স থেকে নেমে এসে খেলোয়াড়দের কারও হোয়াইটস পরে তাঁকে পর্যন্ত নেমে পড়তে হলো ফিল্ডিংয়ে। সবাইকে অবাক করে সেই টেস্টই জিতে গেল নিউজিল্যান্ড। যে প্রচ্ছদের কথা বলছিলাম, সেটি ওই টেস্টের পরই। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘স্পোর্টসওয়ার্ল্ড’-এর কভারে নিউজিল্যান্ড দলের আনন্দমুখর একটা ছবি দিয়ে হেডিং—‘কিউইস্ ক্যান ফ্লাই!’

কিউই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি, মুক্ত পরিবেশে কেউ সেটি একবার দেখতে পেলে বাকি জীবন গল্প করার রসদ পেয়ে যান। এ কারণেই হয়তো সেটি নিউজিল্যান্ডে আরও বেশি মর্যাদা পায়। শুধু জাতীয় পাখিই তো নয়, জাতির নামই তো কিউই! নিউজিল্যান্ডের কোনো মানুষের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর জাতীয়তার কথা জিজ্ঞেস করলে কখনো বলতে শুনবেন না, আমি নিউজিল্যান্ডার বা অন্য কিছু। সগর্বে তিনি জানাবেন, ‘আমি কিউই।’ সানি শ সেই জানানোর ভারটা বুকে ঝোলানো মনুষ্যনির্মিত কিউই পাখির একটা ‘পুতুল’-এর ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন। আমি শুধু একবার মনে মনে আমাদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলাম। আমরাও যদি কেউ জাতীয়তা জিজ্ঞেস করলে ‘আমি দোয়েল’ বলতে শুরু করি, কেমন হবে ব্যাপারটা! দোয়েল বাংলাদেশের মেয়েদের খুব প্রচলিত নাম। তাদের কথা আলাদা।

টেলিভিশনে সানি শকে প্রথম কবে দেখেছিলাম, মনে নেই। সামনাসামনি প্রথম দেখেছি ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের সময়। তখন ঢাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হতো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। প্রেসবক্সের সামনে বিশাল পতাকাটা নিয়ে সারাক্ষণ হইচই করতেন। ‘বাংলা ভুয়া’ কথাটা তখনই শিখেছেন। তাঁর মাতামাতি দেখে বাংলাদেশের দর্শকেরা ‘নিউজিল্যান্ড ভুয়া’ ‘নিউজিল্যান্ড ভুয়া’ বলে চিৎকার করত। সানি শ সেটিই পাল্টা জবাব দিতেন ‘বাংলা ভুয়া’ বলে। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় তাঁকে নিয়ে স্টোরিও হয়েছিল তখন। তাঁর সঙ্গে এরপর আবার দেখা ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের সময়। ডানেডিনে লাঞ্চ করতে মাঠের মাঝখান দিয়ে হেঁটে ওপাশে যাচ্ছি। হঠাৎই পাশের ঘাসের ঢালটা থেকে ‘বাংলা ভুয়া’ ‘বাংলা ভুয়া’ বলে চিৎকার শুনে রীতিমতো চমকে গেছি। তাকিয়ে দেখি সানি শ। আমি কাছে যেতেই ‘বাংলা ভুয়া’ ‘বাংলা ভুয়া’ বলে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন। এবারও তা-ই।

এবারও দেখাটা হলো হঠাৎ করেই। প্রেসবক্স থেকে তাঁকে দেখতে পাইনি। বেসিন রিজার্ভ মাঠটা খুব সুন্দর। আমার প্রিয় মাঠের একটি। সবকিছুই সুন্দর। সবচেয়ে যেটি বেশি সুন্দর লাগে গ্যালারির প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে ঘাসের ঢালটা। দুদিন বৃষ্টির পর তৃতীয় দিনে এই টেস্ট শুরু হওয়ার পর বিকালের দিকে ভাবলাম, সেখানে একটা চক্কর দিয়ে আসি। প্যাভিলিয়নের উল্টো দিকে সাইটস্ক্রিনের পাশে ঘাসের ঢাল যেখানে শুরু, সেখানেই দাঁড়িয়ে আছেন সানি শ। আমি তাঁকে দেখেই চিনেছি, কিন্তু আমাকে তাঁর চিনতে পারার কথা নয়। তবে চেহারা-ছবি আর গলায় ঝোলানো অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডটা দেখে পরিচয়টা অনুমান করতে সমস্যা হলো না। একটু দূরে থাকতেই তাই হাসি মুখে ‘বাংলা ভুয়া’ বলে সাদর সম্ভাষণ। আমি যেটির জবাব দিলাম ‘নিউজিল্যান্ড ভুয়া’ বলে। সঙ্গে সঙ্গেই সানি শ নিউজিল্যান্ডের পতাকায় মুখ ঢেকে ফেললেন। এই বিদ্যাও তাঁর বাংলাদেশে গিয়েই শেখা, ‘নিউজিল্যান্ডের উইকেট পড়লেই দর্শকেরা “নিউজিল্যান্ড ভুয়া” বলে চিৎকার করত, আর আমি তখন এভাবে মুখ ঢেকে ফেলতাম।’

২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের সফরের পর আরও একবার বাংলাদেশে গেছেন। ২০১১ বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের পিছু পিছু পুরো ভারতে ঘুরে বেরিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালটা ঢাকাতে পড়ায় মিরপুরে নতুন স্টেডিয়ামটাও দেখা হয়ে গেছে। বাইরের দুই দেশের খেলা, সেই ম্যাচে মিরপুরের দর্শকেরা তাই ‘নিরপেক্ষ’ই ছিলেন। সেবার সানি শর বাংলাদেশ সফর তাই খুব একটা জমেনি। নতুন কিছু শেখাও হয়নি। ২০০৪ সালে যা শিখেছিলেন, সেটি ভাঙিয়েই খেতে হচ্ছে। অন্য দেশে গেলে মানুষ সে দেশের ভাষায় কিছু শিখতে গেলে কুশল বিনিময়টা আগে শেখে। এরপরই, কখনো বা এর আগেই শেখে কিছু গালাগালি। সানি শ খুব আদর করে আমাকে সে সব শুনিয়ে দিলেন। এর পর প্রস্তাব দিলেন, আমাকে একটা বাংলা গান শোনাতে চান। একটু পর পর চিৎকারের সময় তাঁর কণ্ঠের যে আভাস পেয়েছি, তাতে প্রস্তাবটা একটু ভীতিকর। তারপরও রাজি হয়ে গেলাম। গান-ই তো! এটা শুনে তো আর শারীরিক বা মানসিক কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

আমাকে সম্মতিসূ্চক মাথা ঝোঁকানো শেষ হওয়ার আগেই সানি শ গাইতে শুরু করলেন, ‘ও পিয়া, ও পিয়া তুমি কোথায়....আমি এখানে।’ আসিফের সেই গান। ২০০৪ সালে সানি শর বাংলাদেশ সফরের সময় যা খুব জনপ্রিয় ছিল। স্টেডিয়ামেও কি তা বাজত? হয়তো সেখান থেকেই শিখেছেন বা কেউ শিখিয়ে দিয়েছেন। ‘প্রিয়া’ উচ্চারণে সমস্যাটা তাঁকে বুঝিয়ে বললাম। কিন্তু খুব একটা লাভ হলো না। অনেক চেষ্টা করেও ‘র-ফলা’ উচ্চারণ করতে পারেন না। কিছুক্ষণ চেষ্টার পর তাই ক্ষান্ত দিলাম। ‘প্রিয়া’ আর ‘পিয়া’র মধ্যে ভাবগত বড় কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু ‘আমি এখানে’ কথাটা তো একটু সমস্যা করছে। আসিফের গানে কি এটা আছে? মনে হয় না। যতটুকু অনুমান করতে পারলাম, এমন ব্যাকুলভাবে প্রিয়াকে খুঁজতে থাকা প্রেমিকের দুঃখে কাতর হয়ে সেটি কেউ গানে যোগ করে দিয়েছে। রূপান্তরিত সেই রূপটাই শিখে এসেছেন সানি শ।

হ্যামিল্টনেও তাঁকে খুঁজেছি, পাইনি। কথাটা বলার পরই অভিমানাহত সানি শর তীব্র প্রতিবাদ, ‘কী বলছেন! নিউজিল্যান্ড দেশে টেস্ট খেলছে, আর আমি থাকব না! আমি হ্যামিল্টনেও ছিলাম। আপনি কেন দেখলেন না, বলুন তো?’ দেখিনি তো, দেখিনি, কী আর করা যাবে! এগারো বছর আগে সর্বশেষ যখন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল, তখনই সগর্বে জানিয়েছিলেন, ‘অল ব্ল্যাকস’-এর এক শ রাগবি টেস্ট দেখা হয়ে গেছে। কদিন পর ক্রিকেটের এক শ টেস্টও হয়ে যাবে। রাগবি ও ক্রিকেট দুটিরই টেস্ট দেখার সেঞ্চুরি করা প্রথম কিউই হিসাবে ইতিহাসে নাম উঠতে যাচ্ছে তাঁর। তা এত দিনে কতগুলো টেস্ট হলো? ‘এই ওয়েলিংটন আমার ১৮৭ নম্বর টেস্ট। রাগবির টেস্ট দেখেছি ১৪৯টা। দুটি যোগ করলে হয় মোট ৩৩৬টা। থ্রি থ্রি সিক্স!’ বলে তৃপ্তির একটা হাসি দিলেন সানি শ।

যোগ করার ব্যাপারটা মনে হয় অভ্যাস থেকে। পেশায় অ্যাকাউনট্যান্ট। অকল্যান্ডের একটা ফার্মে চাকরি করেন। পদের নাম ‘ইন্টারনাল অডিটর’। ক্রিকেট ও রাগবি মিলিয়ে ৩৩৬টা টেস্ট, ওয়ানডে ম্যাচ দেখেছেন ৫০৫টা—অন্য আরও অনেক খেলা তো আছেই, অলিম্পিক-কমনওয়েলথ গেমসও বাদ নেই। চাকরিটা করেন কখন? এত বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান—সেটি এখনো আছেই বা কীভাবে! সানি শ দাবি করলেন, চাকরিতে কোনো সমস্যা নেই। ফার্মের মালিক তাঁকে খুবই পছন্দ করেন। যখন খেলা থাকে না, বাড়তি কাজ করে পুষিয়ে দেন। শনি-রবিবারেও কাজ করেন। অন্য সব ছুটিতেও। আর তাঁর কাজটা এমন, যেটির জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অফিস করতে হয় না।

সানি শর টেস্ট অভিষেক ১৯৭১ সালে মেলবোর্নে। খেলা অবশ্য দেখা হয়নি, উল্টো সেটি বড় একটা আক্ষেপ হয়ে আছে তাঁর জন্য। বৃষ্টিতে টানা চার দিন খেলা না হওয়ার পর দেশে ফিরে এসেছিলেন। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগটাও যায় এতেই। হতাশ দর্শকদের একটু আনন্দ দিতে টেস্টের পঞ্চম দিনে ওভার নির্দিষ্ট করে যে ম্যাচটির আয়োজন করা হয়েছিল, সেটিই তো পরে মর্যাদা পেয়ে যায় ইতিহাসের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের। সেটি জানার পর কী দুঃখটাই না পেয়েছিলেন সানি শ! এত বছর পর যা বলার সময়ও সেই দুঃখটা তাঁর কণ্ঠে ফুটে ওঠে।

আনন্দের অনেক অভিজ্ঞতাও হয়েছে। পোর্ট অব স্পেনে ব্রায়ান লারা তাঁকে বিয়ার কিনে দিয়েছেন। গায়ানায় ক্লাইভ লয়েড। লারার বিয়ারটা অবশ্য এক অর্থে সানি শর টাকাতেই কেনা। এটি ১৯৯৬ সালের কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সানি শ শুনলেন, সেঞ্চুরি করার পর মাঠে ঢুকে ব্যাটসম্যানের পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতির কথা। পরের দিন লারা সেঞ্চুরি করতেই দৌড়ে মাঠে ঢুকে তাঁর পকেটে ১০০ ডলারের একটা নোট ঢুকিয়ে দিলেন। রাতে নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বারে বসে আছেন। ব্রায়ান লারা এসে শকে একটা বিয়ার কিনে দিলেন। স্টিভেন ফ্লেমিং বললেন, ‘১০০ ডলারে একটা! এটা তো বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিয়ার।’

বাংলাদেশ নিয়েও তাঁর অনেক আনন্দের স্মৃতি আছে। আবারও যাওয়ার তাই খুব ইচ্ছা। শুধু ক্রিকেট নয়, আরেকটা বড় আকর্ষণও আছে। সেই আকর্ষণের নাম—‘গার্লস, বিউটিফুল গার্লস’! বাংলাদেশের মেয়েরা খুব সুন্দর—এই তথ্য জানিয়ে বললেন, ‘আপনাকে কি বলেছিলাম, বাংলাদেশে আমার একজন গার্লফ্রেন্ডও ছিল?’
হ্যাঁ, বলেছিলেন। তবে ‘ছিল’ কেন? এখন আর যোগাযোগ নেই?
‘না, অনেক দিন যোগাযোগ নেই। তবে এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে।’
সানগ্লাস পরে থাকায় সানি শর চোখ দেখা যায় না। তবে কণ্ঠটা খুব উদাস শোনায়।