সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়েই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সফর

সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার ক্রাইস্টচার্চ শহরের। এখন থেকে যেকোনো সফরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চায় বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার ক্রাইস্টচার্চ শহরের। এখন থেকে যেকোনো সফরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চায় বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
>

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী ঘটনায় বিরাট ধাক্কা খেয়েছে বিসিবি। এখন থেকে যত উন্নত দেশেই খেলতে যাক বাংলাদেশ, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস না পেলে সেখানে দল পাঠাবেন না, আজ স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের মতো অতি উন্নত, শান্তি প্রিয়, ছবির মতো সুন্দর এক দেশে যদি ঘৃণ্য এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে, ‘নিরাপদ’ বলে কোনো জায়গা কি বিশ্বে আছে?

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বীপ গুলিতে খেলতে গেলে সব দলই একটু নির্ভার থাকে। এসব দেশে অপরাধের মাত্রা সব সময়ই শূন্যের কোটায়। এ কারণে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা তেমন থাকে না বললেই চলে। আজ বাংলাদেশ দলের সঙ্গেও কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। তবে এ ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উপলব্ধি হয়েছে বিসিবির। এখন থেকে যত উন্নত দেশেই খেলতে যাক বাংলাদেশ, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস না পেলে সেখানে দল পাঠাবেন না, আজ স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।


৯/১১ যেমন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা আমূল বদলে দিয়েছে, অনুন্নত বা মুসলিম বিশ্ব নিয়ে কেমন এক অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছে মার্কিনিদের মনে, ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পরও ঠিক একই অবস্থা বিসিবির। যে দেশেই খেলতে যাক বাংলাদেশ, নিরাপত্তা নিয়ে এখন থেকে কোনো ছাড় না দেওয়ার কথা বললেন বিসিবি সভাপতি, ‘আজকের এই ঘটনার পর সব বদলে যাবে, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সবকিছু সামলে নিয়ে আমাদের দেখতে হবে, নিরাপত্তার জন্য কী কী দরকার। কোনো দেশে যখন আমরা খেলতে যাচ্ছি ওই দেশ কী দিতে পারবে, আমাদের তরফ থেকে কী প্রয়োজন সব দেখতে হবে। আমার ধারণা, এখন সব দেশ নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় দেবে না। এত দিন আমাদের এটা করা যে দরকার তা মনেই হয়নি, প্রয়োজনই হয়নি। অন্যরা নিরাপত্তা পাচ্ছে, আমরা পাচ্ছি না তা নয়। সবাই চিন্তামুক্ত থেকেই ওসব দেশে খেলতে যায়।’

বিসিবি সভাপতি আবারও মনে করিয়ে দিলেন সন্ত্রাসের কোনো সীমানা নেই, মানচিত্র নেই। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এটা ঘটতে পারে। তিনি মনে করেন, যে দেশেই খেলা হোক না কেন, নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। দুই মাস পর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ। এই ঘটনা আইসিসির জন্যও বড় সতর্কবার্তা। বিসিবি সভাপতি মনে করেন, আইসিসির টুর্নামেন্টে সব সময়ই ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। আর ইংল্যান্ডে যেহেতু এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে, আইসিসি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থাই করবে।