'আমরা এক জঘন্য দুনিয়ায় বাস করছি'

দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফিরছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে তাঁরা হোটেলে যান।
দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফিরছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে তাঁরা হোটেলে যান।
ক্রাইস্টচার্চে যে মসজিদে হামলা হয়েছিল, সেখানেই জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।


ক্রাইস্টচার্চ অনেকের কাছেই ছবির মতো সুন্দর শহর। এই শহরেরই মসজিদে নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আর তাতে ক্রাইস্টচার্চ যেন এখন এক অবরুদ্ধ মৃতপুরী। ভয়াবহ এই ঘটনায় ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই সহমর্মিতা প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশ দল নিরাপদে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কেভিন পিটারসেন এই হামলার গভীরে তাকানোর চেষ্টা করলেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা এক জঘন্য দুনিয়ায় বাস করছি।’

বাংলাদেশ দল নিরাপদে থাকলেও হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৯ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। আর আহত মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ জন। টুইটারে যখন এ নিয়ে হতাহতদের প্রতি সহমর্মিতা আর হামলার নিন্দা জানানোর ঝড় চলছে, পিটারসেন তখন ক্ষোভ ঝাড়লেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপরই। ইংল্যান্ডের সাবেক এই ব্যাটসম্যানের টুইট, ‘ক্রাইস্টচার্চে নারকীয় দৃশ্য! অভিজাত শহরটি বোকাদের হাতে পড়ে শেষ। এই ঘৃণার শুরু অন্য কোথাও। টুইটার ঘুরে দেখছি ঘৃণা, খিস্তি, তর্জন-গর্জন আর অমার্জিত আচরণ। সামাজিক মাধ্যম চালানোর দিকনির্দেশনা পাল্টাতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। আমরা এক জঘন্য দুনিয়ায় বাস করছি।’

কেভিন পিটারসেনের টুইট। ছবি: টুইটার
কেভিন পিটারসেনের টুইট। ছবি: টুইটার

দেরাদুন টেস্টে আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে আয়ারল্যান্ড। খেলোয়াড়েরা মাঠে লড়ছেন, ওদিকে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডও ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের টুইট, ‘আমরা এখন একটি টেস্ট ম্যাচ খেলছি। এর চেয়েও বড় টেস্ট (পরীক্ষা) চলছে নিউজিল্যান্ডে। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট পরিবারের সবাই ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।’ সহমর্মিতা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও। তাঁর টুইট, ‘ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ খবর! ভীষণ ধ্বংসাত্মক ব্যাপার। এমন দুঃখের সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’