বাংলাদেশের সাবিনাকে চায় বিদেশের বড় ক্লাব

সাবিনা খাতুন। ছবি: বাফুফে
সাবিনা খাতুন। ছবি: বাফুফে
>

মালদ্বীপ ও ভারতের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের। এবার সাবিনাকে চায় চায়নিজ তাইপের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব।

সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে ভুটানকে হারিয়ে নেপালে চলমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে বর্তমান রানার্সআপরা। তবু আজ নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ‘বাঁচা-মরার’ লড়াই। কারণ সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে এড়াতে হলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রয়োজন জয়। চাপ নিয়ে মাঠে নামার আগে একটি সুসংবাদ পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনার কানে। তাঁকে চায় চায়নিজ তাইপের প্রিমিয়ার লিগের হ্যাং ইউয়ান ফুটবল ক্লাব।

মেয়েদের ঘরোয়া লিগ বন্ধ আছে প্রায় ছয় বছর হলো। তবে জাতীয় দলের খেলা না থাকলে সাবিনাকে অলস সময় কাটাতে হয় না বললেই চলে। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের বাইরের লিগগুলোতে নিয়মিত হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের গোলমেশিন। মালদ্বীপের পর গত বছর খেলেছেন ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগে তামিলনাড়ু সিথু এফসির জার্সিতে। সেখানে প্রায় একক কৃতিত্বে দলকে তুলে নিয়েছেন সেমিফাইনালে। তামিলনাড়ুর দলের মোট ১১ গোলের ৭টিই এসেছে সাবিনার পা থেকে। ফলস্বরূপ চলতি বছরও সাবিনাকে চায় ভারতীয় ক্লাবটি। কিন্তু তাঁকে পেলে তো!

ইতিমধ্যে বড় প্রস্তাব নিয়ে হাজির তাইপের ইউয়ান ক্লাব। সাবিনার হাতে পৌঁছে গেছে বিশ্ব মহিলা ফুটবলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪০ নম্বরে থাকা দেশের ক্লাবটির আমন্ত্রণও। এখন শুধু বিমানে উঠে বসার পালা। গতকাল নেপাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাইপের ক্লাবের প্রস্তাবের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সাবিনা, ‘আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি। তবে এখন সাফ ফুটবল নিয়েই ভাবছি। টুর্নামেন্ট শেষ করে দেশে ফিরে ভিসার ব্যাপারে কাজ শুরু হবে।’ সাবিনাকে তাইপের ক্লাবে খেলার ব্যাপারে মধ্যস্থতা হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশের তরুণ ফুটবল এজেন্ট নিলয় বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী খুব ভালো পারিশ্রমিকই পাবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক এবং চুক্তিটা হবে সাত মাসের।

বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের অনেক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাবিনার নাম। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন মালদ্বীপ ও ভারতের লিগে। ২০১০ সাল থেকে টানা জাতীয় দলে খেলা সাতক্ষীরার এই মেয়ে পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলের অধিনায়ক। এসএ গেমস, সাফ, এএফসি, ফুটসাল, প্রীতি টুর্নামেন্ট ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে ১১৩টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩২৩ টি। বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলে যা এক বিরল রেকর্ড। আর হ্যাঁ, নারী সাফের পাঁচটি আসরে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি ফুটবলারও তিনিই।