জিদান ফিরলেন, ফিরল রিয়াল

জিদানের ফিরে আসার ম্যাচে বার্নাব্যু ফিরে পেল তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে। বহুদিন পর মূল একাদশে সুযোগ পেয়েই গোল করলেন ইস্কো। ছবি: এএফপি
জিদানের ফিরে আসার ম্যাচে বার্নাব্যু ফিরে পেল তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে। বহুদিন পর মূল একাদশে সুযোগ পেয়েই গোল করলেন ইস্কো। ছবি: এএফপি
>৪ ম্যাচ পর বার্নাব্যুতে জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ

পরিবর্তন আসছে সেটা তো জানাই ছিল। ডাগ আউটে নয় মাস পর আবার ফিরে এসেছেন জিনেদিন জিদান। তাই বলে চিত্রনাট্যের বাকি গল্পগুলোও এভাবে মিলে যাবে! সান্তিয়াগো সোলারির অধীনে যাদের রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ার নিয়েই প্রশ্ন জেগেছিল, সেই সব তারকাই এভাবে জ্বলে উঠলেন আজ। বার্নাব্যুতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে জিদানকে স্বাগত জানালেন ইস্কো ও বেল।

সোলারির সঙ্গে মন কষাকষিতে একাদশ তো বটেই ম্যাচ স্কোয়াড থেকেই জায়গা হারিয়েছিলেন ইস্কো। মার্সেলো, মার্কো অ্যাসেনসিও, গ্যারেথ বেল ও কেইলর নাভাসের গল্পগুলো ভিন্ন। অ্যাসেনসিও চোটে পড়ে ফেরার পর দেখলেন তাঁর জায়গাটা লুকাস ভাসকেজ নিয়ে নিয়েছে। আর গ্যারেথ বেল ও মার্সেলো ফর্ম হারিয়ে জায়গা খুঁইয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও সার্জিও রেগুলিনের কাছে। নাভাস অবশ্য এর কোনোটিরই শিকার নন। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া অনেক কষ্ট করে রিয়ালে এসেছেন। সে দায় মেটাতেই তাঁকে নিয়মিত গোলরক্ষক বানিয়েছিলেন এ মৌসুমে রিয়ালের প্রথম দুই কোচ।

জিদান দায়িত্ব পেতেই ফিরলেন এরা সবাই। ভাসকেজ ও ভিনিসিয়ুসের চোট বেল ও অ্যাসেনসিওর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজটা সহজ করে দিয়েছিল। নিষেধাজ্ঞায় কাসেমিরোর না থাকায় ট্যাকটিকে একটু বদল আনতে হয়েছিলেন জিদান, তাতে ইস্কোর সুযোগ পাওয়াটাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নাভাস ও মার্সেলোর ক্ষেত্রে আবেগকেই গুরুত্ব দিয়েছেন জিদান। তাঁকে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দেওয়া দুই সেনানীকেই বেছে নিয়েছেন। ফলটাও পেয়েছেন হাতে নাতে।

প্রথমার্ধে শুরুটা রিয়ালের ভালো হলেও গোলের মোক্ষম সুযোগটা সেল্টাই পেয়েছিল। ১৬ মিনিটে ছোট বক্স থেকে জোরালো হেড করেছিলেন ম্যাক্সি লোপেজ। দারুণ রিফ্লেক্সে রেলিগেশনে পড়া থাকা সেল্টার লিড নেওয়া আটকালেন নাভাস। ৩০ মিনিটে বেলের শট ক্রসবারে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। প্রথমার্ধের শেষভাগে জালে বল পাঠিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু গোলের আগমুহূর্তে বেলের ফাউলে সেটা বাতিল হয়।

৫৫ মিনিটে মদরিচ আবারও জালে বল পাঠিয়েছিলেন। এবার ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিংয়ের সহযোগিতা নিয়ে গোল বাতিল করলেন রেফারি। হতাশ বার্নাব্যুকে জাগানোর দায়িত্ব নিলেন অ্যাসেনসিও। ৬২ মিনিটে ডান প্রান্তে বল পেয়ে একাই তেড়েফুঁড়ে ছুটলেন বক্সের কাছে এসে ফাউলের শিকার হয়েও দারুণ এক ত্রু দিলেন বেনজেমাকে। বেনজেমার কাটব্যাক থেকে দলকে এগিয়ে দিলেন ইস্কো। অক্টোবরের পর লা লিগায় প্রথমবারের মতো মূল একাদশে জায়গা পেয়ে গোল পেয়ে তবেই মাঠ ছাড়লেন ইস্কো।

৭৭ মিনিটেও আরেক প্রত্যাবর্তনের গল্প। সোলারির অধীনে নিজের স্বভাবজাত আক্রমণাত্মক ধারও কীভাবে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন মার্সেলো। সেই মার্সেলোই আজ দুর্দান্ত খেলেছেন। তাঁরই সৃষ্টি করা সুযোগ থেকে মাদ্রিদ ক্যারিয়ার পুনর্জীবিত করলেন বেল। ৭৭ মিনিটের এ গোলের পরও গোলের বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছে রিয়াল। তবে আর গোলের ব্যবধান বাড়েনি।