অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশও নিরাপত্তা দল পাঠাক

শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে গাড়িতে ওঠার পর মোস্তাফিজ ও সৌম্য। ছবি: প্রথম আলো
শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে গাড়িতে ওঠার পর মোস্তাফিজ ও সৌম্য। ছবি: প্রথম আলো
>কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ বললেন, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশও নিরাপত্তা দল পাঠাক

ক্রাইস্টচার্চ হামলার ঘটনা আসলে পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী আলোচনা এই একটি বিষয় নিয়েই। বাংলাদেশের মানুষকে আরও বেশি করে প্রভাবিত করছে, কারণ পরশুর এই হামলায় আল নূর মসজিদে নিহত হয়েছেন তিন বাংলাদেশি। আর একটুর জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের এই মানসিক ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসনের সামনে এখন বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি এসে গেছে। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ যেমন বললেন, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেরও নিরাপত্তা দল পাঠানো হোক, ‘এখানে যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ড আসে তখন পুরো সিকিউরিটি দল আসে। আমাদের হোটেল চেক করে, রাস্তাঘাট দেখে। কোন রাস্তা দিয়ে বাস আসবে এবং কোন দিক দিয়ে হোটেলে যাবে প্রতিটি জিনিস দেখে। এমনকি প্রতিটি ভেন্যুতেই যায়। আমার মনে হয় বাংলাদেশেরও এমন করা উচিত।’

ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর এখন বিসিবির ভাবনা আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ। সর্বশেষ ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালে লন্ডনে ঘটেছিল সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে তাই সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। পরশু ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় আইসিসি বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে। বিশ্বকাপের নিরাপত্তা পরিকল্পনা অংশগ্রহণকারী সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে। যেকোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়ে থাকে আইসিসি। তবে ক্রাইস্টচার্চে পরশু হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আরও বেশি কঠোর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।

কাল বিসিবিপ্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, ‘আইসিসি সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে। তারা আমাদের কাছে কঠোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। সব সদস্যদেশের সঙ্গে তারা আবার কথা বলছে। এ ঘটনার পর আইসিসি এখন আরও সতর্ক হবে, আরও সচেতন হবে। আপনারা জানেন, আগে কিছু ঘটনা ইংল্যান্ডেও ঘটেছে। নিউজিল্যান্ডে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পর আরও সতর্কতা বাড়বে। যে বোর্ডগুলো নিরাপত্তা নিয়ে একটু উদার থাকে, আয়োজক দেশের ওপর নির্ভর করে, তারাও হয়তো ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক থাকবে।’