গোলে বাংলাদেশিরা পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলিয়ান-আর্জেন্টাইনদের

সর্বোচ্চ গোলদাতা সানডের সঙ্গে জীবন এবং আরামবাগের উইঙ্গার জাহিদ। ফাইল ছবি
সর্বোচ্চ গোলদাতা সানডের সঙ্গে জীবন এবং আরামবাগের উইঙ্গার জাহিদ। ফাইল ছবি
>জাতীয় ও যুব দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার জন্য এক মাসের বিরতি চলছে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে। ৬ এপ্রিল শুরু হবে পরের রাউন্ডের খেলা। এবারের লিগে দেশি স্ট্রাইকাররা গোল করে পাল্লা দিচ্ছেন বিদেশিদের সঙ্গে।

নবম রাউন্ড শেষে দশম রাউন্ডে পা রেখেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। যথারীতি সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে বসে আছেন বিদেশিরা। তবে এবারের লিগে গোল করার দক্ষতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশি স্ট্রাইকাররাও। শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন স্থানীয় দুজন উইঙ্গার জাহিদ হোসেন ও স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। বাংলাদেশের এ দুজনের অনেক পেছনে পড়েছেন তিন ব্রাজিলিয়ান ও এক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

৮ গোল করে শীর্ষে আবাহনী লিমিটেডের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা। এক গোল কম করে দুই নম্বরে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদের আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার বালো ফামুসা। এর পরেই ৬ গোল করে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন তিনজন; দেশি দুই ফরোয়ার্ড জাহিদ (আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ) ও নাবিব নেওয়াজের (আবাহনী লিমিটেড) সঙ্গে রহমতগঞ্জের কঙ্গোর স্ট্রাইকার সিও জুনাপিও। আর কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা বসুন্ধরা কিংসের দানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোল তিনটি।

সানডেকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ১৯ গোল করে শীর্ষ গোলদাতা হওয়া এ স্ট্রাইকারের গত কয়েক বছর ধরেই ‘গোল মেশিন’ নামে পরিচিত। এবারও আবাহনীকে নিয়ে ছুটছেন এই নাইজেরিয়ান। এরই মধ্যে দশ ম্যাচ খেলে করেছেন ৮ গোল। তবে ঢাকার মাঠে প্রথম খেলতে এসে তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন আইভরি কোস্টের ফামুসা। সানডের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে গোল করেছেন সাতটি। লিগ শুরু করেছিলেন শেখ জামালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক দিয়ে।

ক্যারিয়ারের গৌধুলি লগ্নে এসে নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন জাহিদ। বয়স ৩২ ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বয়সী ফুটবলারদের গায়ে ‘বুড়ো’ তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জাহিদ যেন এবারের মৌসুমে নিজেকে অন্যভাবে চেনাচ্ছেন। আট ম্যাচ খেলে ৬ গোল করে যৌথভাবে গোলদাতার তৃতীয় স্থানে আছেন জাতীয় দলের সাবেক এই উইঙ্গার। মোহামেডানের বিপক্ষে করেছেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকও। কম যাচ্ছেন না আবাহনীর আরেক দেশি ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াহ। এক হ্যাটট্রিকে তাঁর পা থেকেও এসেছে ছয় গোল। ময়মনসিংহে আরামবাগের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে দুর্দান্ত জোড়া গোল করে আবাহনীকে উদ্ধার করেছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। লিগে ১৫ গোলের লক্ষ্য নিয়েছে ছুটছেন জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার।

মজার বিষয় হলো বাংলাদেশি এই দুই ফরোয়ার্ডের চেয়ে গোলে পেছনে পড়ে গেছেন তিন ব্রাজিলিয়ান ও এক আর্জেন্টাইন। শেখ জামালের জার্সিতে ৩ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুসিয়ানো এমানুয়েলের। ৩ গোল আছে অন্য দুই ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়ুস (বসুন্ধরা কিংস) ও লিওনার্দো ভিয়েরা লিমার (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)। আর শেখ রাসেলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার অ্যালেক্স রাফায়েলের গোল মাত্র একটি। এই চার লাতিন ফুটবলারের চেয়ে বাংলাদেশের মতিন মিয়ার গোলও বেশি। বসুন্ধরা কিংসের তরুণ ফরোয়ার্ড গোল করেছেন চারটি।