তামিমদের জন্য মনোবিদের কথা ভাবছে বিসিবি

ক্রিকেটাররা দ্রুত মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠবেন, এ আশা বিসিবি সভাপতির। ছবি: প্রথম আলো
ক্রিকেটাররা দ্রুত মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠবেন, এ আশা বিসিবি সভাপতির। ছবি: প্রথম আলো
>ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় মানসিকভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মানসিক এ ধকল কাটিয়ে ওঠা ও বিশ্বকাপের আগে তাঁদের চনমনে করে তুলতে মনোবিদ আনার চিন্তা করছে বিসিবি

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাঁরা নিরাপদে দেশে ফিরেছেন দুদিন হলো। ক্রিকেটারদের নিরাপদে ফিরে আসা ও ক্রাইস্টচার্চে নিহত লোকজনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ এক বিশেষ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মিলাদ শেষে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা যে মানসিক ধাক্কা খেয়েছেন, সেটি থেকে বের হওয়া ও বিশ্বকাপে ভালো করতে মনোবিদ আনার কথা ভাবছেন।

এর আগেও বেশ কয়েকবার মনোবিদ এনেছে বিসিবি। গত অক্টোবরে ক্রিকেটারদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে কাজ করে গেছেন কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী আজহার খান। বেশির ভাগ সময়ই মনোবিদেরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করেছেন মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর খেলোয়াড়েরা একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এটা নিয়ে পড়ে থাকার খুব বেশি সময়ও নেই। দেড় মাস পর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এ সিরিজ শেষ হলেই বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের চনমনে করে তুলতে বিসিবি একজন মনোবিদ আনার কথা ভাবছে। নাজমুল হাসান আজ বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘আমরা এ রকম কিছু চিন্তা করছি। আমরা ওদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি। শুধু এ কারণেই যে মনোবিদ আসবে, তা নয়। আমরা ঠিক করেছি যে, বিশ্বকাপ আছে সামনে, তার আগে একজন মনোবিদ এসে যদি ওদের সঙ্গে সময় কাটায়, দলের জন্যই ভালো। যদি কারও মনে হয় কারও বিশেষ কোনো সহায়তা দরকার, অবশ্যই তা করা হবে।’

আজ মিলাদ মাহফিলে এসেছিলেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, তাইজুল ইসলাম। ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। মিলাদ শেষে ক্রিকেটাররা কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতির সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নাজমুলের মনে হয়েছে, ধীরে ধীরে খেলোয়াড়েরা মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠছেন, ‘ওরা ঠিকমতো ফিরে এসেছে, শুকরিয়া আদায়ে একটা দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হলো। ক্রাইস্টচার্চে কত মুসলিম মারা গেছেন, ওখানে পাঁচজন বাংলাদেশিও আছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হলো। ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা বোঝারও ব্যাপার ছিল। ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাদের। তবে আমার বিশ্বাস, ওরা দ্রুত মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারবে।’