বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই হবে বাংলাদেশের সেরা দল

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত দলই হবে, নির্বাচক হাবিবুলের আশা। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত দলই হবে, নির্বাচক হাবিবুলের আশা। ছবি: এএফপি
>দুঃস্বপ্নের নিউজিল্যান্ড সফর শেষে বাংলাদেশকে তাকাতে হচ্ছে সামনে। সামনে তাকালেই যে চলে আসছে বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের দল নিয়ে চিন্তাভাবনা করা শুরু করেছেন নির্বাচকের। নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, অভিজ্ঞ এক দলই এবার যাচ্ছে বিশ্বকাপ খেলতে

ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পেছনে। সামনে চলে আসছে আয়ারল্যান্ডে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপরই বিশ্বকাপ। আগামী মাসের মাঝামাঝি নির্বাচকেরা দিয়ে দেবেন বিশ্বকাপের দল। কেমন হবে বিশ্বকাপের দল, সে আলোচনাও শুরু গেছে এরই মধ্যে।

যেটি ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট, সেটির দল গড়তে সব দেশের নির্বাচকদের অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। বিসিবির নির্বাচকেরাও ভাবছেন। তবে এই দল গড়তে খুব যে গলদঘর্ম হতে হবে, তা নয়। বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, দল তাঁদের প্রায় তৈরিই আছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। গত এক-দুই বছর যাঁরা ধারাবাহিক ভালো খেলছেন, তাঁরাই জায়গা করে নিচ্ছেন বিশ্বকাপ দলে।

হাবিবুলের চোখে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই হবে বাংলাদেশের সেরা দল। কেন সেরা দল হবে, সেটির জোরালো যুক্তিই দিয়েছেন বিসিবি নির্বাচক, ‘বিশ্বকাপ আসে চার বছর পর পর। বিশ্বকাপ সব সময়ই বিশেষ কিছু। এ কারণে দল করতে গিয়ে আমাদের একটু বেশি চিন্তাভাবনা করতে হয়, একটু সময় নিতে হয়। পেছনের যত বিশ্বকাপ দেখেন, এ বছর আমরা সেরা দলটা নিয়েই যাচ্ছি। দলে এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, এত পারফরমার, আগে এতটা ছিল না। দলটা কেমন হবে, সেটা ঠিক হয়ে আছে। এর মধ্যে কেউ যদি দুর্দান্ত কিছু করে ফেলে, সেটা ভিন্ন কথা। তবে বিশ্বকাপের একটা সেটআপ তৈরি হয়েই আছে। এখন সবাই যেন ছন্দে আর সুস্থ থাকে।’

২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছিল তারুণ্যে ভর করে। সে দলে এমনও ক্রিকেটার ছিলেন, যাঁরা নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলেছেন বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে গিয়ে। সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞের দারুণ মিশেলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার তারুণ্য নয়, বাংলাদেশ যাবে অভিজ্ঞ সব ক্রিকেটার নিয়ে। সব শেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলা খেলোয়াড়ের মধ্যে মোহাম্মদ মিঠুন কিংবা সাইফউদ্দীনেরও ১০-১৫ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা থাকলেই যে সব সময়ই সফল হওয়া যাবে, সেটির কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিউইদের বিপক্ষে সব শেষ ওয়ানডে সিরিজে যেমন ভালো করতে পারেননি বেশির ভাগ সিনিয়র ব্যাটসম্যান।

হাবিবুল অবশ্য এই একটা সিরিজ দিয়ে দলকে বিচার করতে চান না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে খেলাটা খেলেছে বাংলাদেশ, সেটির চেয়ে তিনি চিন্তিত খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে, ‘যারা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে, বিশ্বকাপ দল গঠনে সেটির কোনো প্রভাব ফেলবে না। ধরুন, মুশফিকুর রহিমের এই সিরিজটা খারাপ গেছে। তাঁকে নিয়ে নিশ্চয়ই আমাদের ভাবতে হবে না! বিশ্বকাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার টুর্নামেন্ট নয়। বিশ্বকাপে একটু অন্য রকম চাপ থাকে। এখানে নতুনদের সুযোগ দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দেখছি। এখানে যদি দুর্দান্ত কেউ কিছু করে থাকে, হয়তো আমরা ভাবব। আমাদের মূল চিন্তা হচ্ছে চোট নিয়ে। দলটা থিতু আছে। বিশ্বকাপে এমন দল নিয়েই খেলতে চাইবেন। বিশ্বকাপে কেউ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে চাইবে না। চোট নিয়েই আমাদের যত চিন্তা। সামনে আমাদের যথেষ্ট সময় আছে, আশা করি যারা চোটে পড়েছে, তারা দ্রুত সেরে উঠবে। চোট কতটা ভোগাতে পারে নিউজিল্যান্ডে আমরা দেখেছি।’