বার্সার টাকা নয়, রিয়ালই এই ব্রাজিলিয়ানের 'সেরা প্রজেক্ট'

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: এএফপি
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: এএফপি

বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ—দুই ক্লাবই তাঁকে চেয়েছিল। আগে যোগাযোগ করেছিল বার্সা। রিয়ালের তুলনায় বেশি অর্থ দিতে চেয়েছিল তাঁরা। কিন্তু ভিনিসিয়ুস কাতালান ক্লাবে যোগ না দিয়ে পাড়ি জমান রিয়ালে। দুই বছর আগে কথাটা প্রথম জানিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এজেন্ট। আর এবার ভিনিসিয়ুস নিজেও জানালেন, বার্সা বেশি টাকা সাধলেও রিয়ালই ছিল তাঁর পছন্দের ক্লাব।

রিয়াল ২০১৭ সালে ভিনিসিয়ুসকে কিনলেও বয়স ১৮ বছরের নিচে থাকায় তখন তাঁকে পায়নি দলটি। ফ্ল্যামিঙ্গো ছেড়ে গত বছর রিয়ালে যোগ দেন ১৮ বছর বয়সী এই তারকা। স্পেনে প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই বিষয়টি খুলে বলেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর মতে, বার্সায় যোগ না দিয়ে বেছে নিয়েছেন ‘সেরা প্রজেক্ট’। আর এই ‘প্রজেক্ট’ যে রিয়াল মাদ্রিদ তা বলাই বাহুল্য।

সাক্ষাৎকারে ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘১৬-১৭ বছর বয়সে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলতাম। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ যোগাযোগের আগ পর্যন্ত আমার বাবা কখনোই অন্য ক্লাবগুলোর আগ্রহ নিয়ে কিছু বলেননি। এরপর আমরা “সেরা প্রজেক্ট” বেছে নিতে দুটি ক্লাবেই যাই। বার্সেলোনার প্রস্তাব আগে পেয়েছি। ওরা বেশি অর্থ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মার্সেলো ১৮ বছর বয়সে ওখানে (রিয়াল মাদ্রিদ) গিয়েছে। এসেনসিও খেলছে...এসব ভেবে রিয়ালকেই বেছে নেই।’ সংবাদমাধ্যম এরপর ভিনিসিয়ুসকে প্রশ্ন করেছিল, কখনো বার্সার জার্সি গায়ে চাপানোর কথা ভেবেছেন কি না? ‘না’—এক কথায় জবাব ভিনিসিয়ুসের।

চোটের কারণে ভিনিসিয়ুস এখন মাঠের বাইরে। মে মাসের আগে হয়তো ফিরতে পারবেন না। রিয়ালে মার্সেলো ও কাসেমিরোর কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখছেন এই উঠতি তারকা। ‘আমার ক্যারিয়ার অনেক লম্বা, সে জন্য ধৈর্য ধরা গুরুত্বপূর্ণ’—এ কথাটা ভিনিসিয়ুসকে বুঝিয়েছেন তাঁর দেশের এই দুই তারকা ফুটবলার। ব্যালন ডি’অর জয়েও চোখ রয়েছে ভিনিসিয়ুসের, ‘২৫-২৬ বছর বয়সে পুরস্কারটি জিততে চাই। যখন আমি সেরা ফর্মে থাকব। এখন আমার বয়স মাত্র ১৮ বছর এবং সেরাদের সঙ্গেই খেলছি। ২৬ বছর বয়সে সেরাদের সঙ্গে খেললে সাহায্য পাব, তখন হয়তো জিততে পারব।’

ভিনিসিয়ুস যখন ব্যালন ডি’অর জিততে চান তখন মেসি-রোনালদো যে মাঠে থাকবেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত। পাঁচবার করে বর্ষসেরা মেসির বয়স ৩১ বছর, আর রোনালদোর ৩৪ বছর।