জিকোর নেতৃত্বে লড়ল বাংলাদেশ

>
হারলেও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ দল। সংগৃহীত ছবি
হারলেও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ দল। সংগৃহীত ছবি

স্বাগতিক বাহরাইনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব ফুটবল র‍্যাঙ্কিংয়ে বাহরাইনের অবস্থান ১১১। আর বাংলাদেশ ১৯২। র‍্যাঙ্কিংয়ের বিচারে ৮১ ধাপ পিছিয়ে থেকে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে স্বাগতিক বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ধারণা করা হয়েছিল স্বাগতিকদের সামনে উড়ে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তা নয়, লড়াই করে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

লড়াইয়ের তেজ আনিসুর রহমান জিকোর মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। এই গোলরক্ষকের সুবাদের ম্যাচের ব্যবধান ন্যূনতম ছিল। ঈসা টাউনের খলিফা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদেরই অতিথি দল বানিয়ে দিয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ দলের পায়ে বল গেলেই গ্যালারিতে গর্জন উঠেছে। ঢাকার মাঠেও এমন কিছু দেখার সৌভাগ্য হয় না জিকো, মাশুক মিয়া জনি , বিশ্বনাথ ঘোষদের। এমন ভালোবাসার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছে দল। মাঠে আসা বিপুলসংখ্যক প্রবাসী লড়াই দেখার স্বাদ নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। প্রথমার্ধের 2১ মিনিটে গোল হজমের পর দুর্দান্ত খেললেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি জেমি ডের শিষ্যরা। পুরো দলই খেলেছে ভালো। তবে গোলরক্ষক জিকোর কথা বিশেষ করে বলতেই হবে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভালো দুইটি সেভ করেছেন। আরও বেশ কয়বার দলকে বাঁচিয়েছেন।

প্রতিপক্ষ বাহরাইন। আন্দাজ করা হয়েছিল শুরু থেকেই পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে রক্ষণাত্মক কৌশলে যাবেন জেমি। তা না করে ৪-৩-৩ ফরমেশনে দল সাজিয়ে সমান তালে লড়াই করার সাহস দেখান ইংলিশ কোচ। শিষ্যরাও দিয়েছে প্রতিদান। শুরুতে টুটুল হোসেন, রাফিউল, সুশান্ত ও বিশ্বনাথ যেভাবে রক্ষণভাগটা আঁটসাঁট রাখলেন, তাদের নিয়ে গর্ব করা যেতেই পারে। ‘উইং প্লে বা মিডল করিডর’ দিয়ে ওয়ান টু ওয়ানে নিজেদের অ্যাটাকিং থার্ড পর্যন্ত ভালোই এসেছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণ সীমানায় ঢুকতেই ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের। অন্য দিকে প্রতি আক্রমণে সুফিল, বিপলুরা ঝড়ের গতিতে উঠলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাধে গিয়ে থামতে হয়েছে। নেওয়া যায়নি বাহরাইন গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষা।

২৪ মার্চ ফিলিস্তিনির বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ শেষ ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।