আইসিসির স্বীকৃতি পেলেন রুমানা
>আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন, তা বেশ পুরোনো খবর। আজ সেই দলে জায়গা পাওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসির পক্ষ থেকে ‘ক্যাপ’ পেলেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ। ক্যাপ পেয়ে প্রথম আলোকে জানালেন তাঁর অনুভূতির কথা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৮ সালে মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে আইসিসি, এটি কিছুদিন আগের খবর। ওয়ানডে দলে বাংলাদেশের কারও সুযোগ না হলেও টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নিয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন রুমানা আহমেদ। টি-টোয়েন্টি দলের সবাইকেই স্মারক হিসেবে একটি করে ‘ক্যাপ’ উপহার দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আজ সেটি হাতে পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের এই তারকা।
ক্যাপ পেয়ে কী ভাবছেন রুমানা? স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়েছে উচ্ছ্বাস, ‘অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে আমার। অনেক খুশি আমি। বর্ষসেরা দলের সদস্য হলে আইসিসির পক্ষ থেকে একটা পুরস্কার দেওয়া হয়, জানতাম। তাই আইসিসির কাছ থেকে এই ক্যাপটা পাওয়ার জন্য বেশ উৎসুক হয়ে ছিলাম। পেয়েছি, অনেক ভালো লাগছে।’
২০১৮ সালটা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে বিশেষ স্মরণীয় হয়ে থাকবে একটি কারণেই। জুনে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। আর সে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল রুমানার। বাংলাদেশকে শিরোপা জেতানোর টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে নেন ১০ উইকেট। ফাইনালে হন ম্যাচসেরা। রুমানা অবশ্য তাঁর লেগ স্পিন আর ব্যাটিং দুটি দিয়ে অনেক দিন ধরেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের একমাত্র হ্যাটট্রিকের গৌরবটা তাঁরই। গত বছর ২৪ টি-টোয়েন্টিতে ৩০ উইকেট আর ২২৯ রান করে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারে রুমানা ছিলেন দুইয়ে, অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও তাঁকে রাখতে হবে সেরা তিনে। দুর্দান্ত এক বছর কাটানো বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডারকে তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে রাখতে খুব একটা ভাবতে হয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার বিচারক প্যানেলকে।
অবিস্মরণীয় এই সাফল্যের পর রুমানা দেশের নারী ক্রিকেটের অবস্থা এখন কেমন দেখছেন? ২০১৯ সালে দেশের নারী ক্রিকেটকে কোন অবস্থানে দেখতে চান তিনি? রুমানার কণ্ঠে শোনা গেল আত্মপ্রত্যয়, ‘২০১৯ সালের বেশ কিছু সময় চলে গেছে ইতিমধ্যে। সত্যি বলতে কি, এই বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমরা তেমন খেলিনি। আশা করব, এই বছরে যেন বেশ কয়েকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও সিরিজ খেলতে পারি। জাতীয় দলকে নিয়ে আমার বেশ কিছু স্বপ্ন আছে। সে স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্য আমাদের নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হবে। আশা করব, এই বছরে আরও কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও সিরিজ খেলার। সে লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত রাখছি সব সময়। ম্যাচ প্র্যাকটিস করে, ফিটনেস ঠিক রেখে।’
জাতীয় দল আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললে রুমানারা এমন আরও অনেক গর্বের উপলক্ষ এনে দিতে পারবেন জাতিকে। কিন্তু বিসিবি কি সেটা বুঝতে পারছে?