ওয়ার্নার ফিরলেন ওয়ার্নারের মতো

দুর্দান্ত খেলেছেন ওয়ার্নার।
দুর্দান্ত খেলেছেন ওয়ার্নার।

ফিরছেন তিনি, সেটা জানিয়েছেন প্রস্তুতি ম্যাচেই। ঝোড়ো এক ফিফটিতে নিজের দলের বোলারদের বড় পরীক্ষা নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সতীর্থদের তবু পঞ্চাশ পেরোনোর পরই ছাড় দিয়েছিলেন, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের অত খাতির দেখালেন না। এক বছর পর আইপিএলে ফেরাকে স্মরণীয় করে রাখলে দুর্দান্ত এক ইনিংস দিয়ে। ওয়ার্নারের ৮৫ রানের ইনিংসে কলকাতাকে ১৮২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।

বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারি অনেক বড় ক্ষতি করে দিয়েছে ওয়ার্নারের। জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এরপরই জানতে পেরেছেন ২০১৮ আইপিএলেও তাঁকে প্রয়োজনীয় মনে করছে না তাঁর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। লোভনীয় এক চুক্তি হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গে মানসিক ধাক্কাটা তো আছেই। ২০১৯ আইপিএলে ফিরেছেন কিন্তু দাগ তো মোছেনি পুরোপুরি। দলে ফিরলেও অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে কেন উইলিয়ামসনকে। উইলিয়ামসন চোটের জন্য আজ দলে নেই, তবু ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়নি। দলকে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভুবনেশ্বর কুমার।

এ ঘটনায় মন খারাপ হতে পারত। হাজার হলেও এ দলকে আইপিএল শিরোপা এনে দিয়েছেন এই ওয়ার্নার। এ কারণেই হয়তো প্রত্যাবর্তন এত দুর্দান্ত হলো। প্রথম ওভারে একটু রয়ে সয়ে খেলেছেন। অন্য প্রান্তে জনি বেয়ারস্টো ধীরস্থির হয়েই খেললেন পুরো ইনিংসে। তবু যে হায়দরাবাদের রানের চাকাটা এভাবে ছুটেছে, এর পেছনে ওয়ার্নারই মূল ভূমিকা রেখেছেন। পাওয়ার প্লের মধ্যেই পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। ১১তম ওভারে এক শ পেরিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। এর মাঝেই ফিফটি হয়ে গেছে ওয়ার্নারের। ৩১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৮ চার ও ১ ছক্কায়।

দলকে ১১৮ রানে রেখে ফিরেছেন বেয়ারস্টো (৩৯)। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ফিরলেন ওয়ার্নারও। ফিফটির পর ৩৫ রান তুলেছেন ৩২ বলে। চার মেরেছেন মাত্র একটি, তবে দুই ছক্কায় ভয়ই দেখাচ্ছিলেন। আন্দ্রে রাসেলের বলে ওয়ার্নারের (৫৩ বলে ৮৫) বিদায়ের পর আর দ্রুত রান তুলতে পারেনি হায়দরাবাদ। শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৩৭ রান এসেছে ।সেটাও শেষ ওভারে ১১ রান তোলার পর। মাত্র ৩ উইকেট হারানো এক দলের জন্য পরিসংখ্যানটা খুব একটা আদর্শ নয়।