আবাহনীর জয়ে জহুরুলের ৪ রানের আক্ষেপ

মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে জহুরুলের। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে জহুরুলের। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ আবাহনীর কাছে মোহামেডান হেরেছে ৬ উইকেটে। আবাহনীর জহুরুল করেছেন ৯৬ রান।


আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আগের সেই উত্তেজনা এখন আর নেই। নামেই শুধু দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের লড়াই। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচটিও নিরুত্তাপ ম্যাচের আদর্শ উদাহরণ হয়ে রইল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর কাছে মোহামেডান হেরেছে ৬ উইকেটে।

২৪৯ রানের লক্ষ্য। আবাহনীর দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি তুলে ফেলল ১০৫ রান। লক্ষ্যটা যেহেতু সহজ হয়ে আসছিল, সৌম্যর সুযোগ ছিল লম্বা একটা ইনিংস খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়া। বাঁহাতি ওপেনার সেটি পারলেন না, শাহাদাত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন ৪৩ রানে। সৌম্য না পারলেও জহুরুল এগোচ্ছিলেন লিগে প্রিমিয়ার লিগে আরেকটি সেঞ্চুরি করার পথে। শাহাদাতের বলে বোল্ড হয়ে তাঁর তিন অঙ্ক ছোঁয়া আর হয়নি, ফিরেছেন ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে। আউট হয়েছেন ৯৬ রানে। দুই ওপেনারের দুই রকম আফসোস থাকলেও আবাহনীর তাতে ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি, ১৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে গেছে জয়ের প্রান্তে। জহুরুলের অবশ্য মনটা ভালো হয়ে যাওয়ার কথা ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়ে।

টস জিতে আবাহনী ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিল মোহামেডানকে। মাশরাফিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মোহামেডান ৭ উইকেটে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ইরফান শুক্কুর আর রকিবুল হাসানের দুটি ফিফটি তাদের সহায়তা করেছে এ মাঝারি স্কোর গড়তে। চোট থেকে ফিরে অসাধারণ বোলিং করেছেন আবাহনীর সাইফউদ্দীন, ৩১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আবাহনীর বোলারদের প্রায় সবাই যেখানে ভালো করেছেন, রুবেল হোসেন সেখানে দিয়ে বসেছেন ১০ ওভারে ৭১ রান।

এই জয়ে আবাহনী ধরে রেখেছে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থান, ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ হার তাদের পয়েন্ট ১০।