আইপিএলের ধারাভাষ্য কক্ষে আছেন আতহারও

সাকিব আইপিএলে খেলছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। এবার বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার তিনিই। তবে একমাত্র প্রতিনিধি কিন্তু নন। ধারাভাষ্যকক্ষে আছেন আতহার।
আইপিএল ধারাভাষ্যকক্ষে থাকছেন আতহার। ফাইল ছবি
আইপিএল ধারাভাষ্যকক্ষে থাকছেন আতহার। ফাইল ছবি

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে শুধু সাকিব আল হাসান নন, মাঠের বাইরে আরও একজনের প্রতিনিধিত্ব আছে—আতহার আলী খান। প্রথমবারের মতো আইপিএলে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন আতহার।

আতহার ধারাভাষ্য দিচ্ছেন বাংলায়। প্রচার হচ্ছে কলকাতার টিভি চ্যানেল ‘স্টার জলসা মুভিজে’। ধারাভাষ্য সম্প্রচার হচ্ছে মুম্বাইয়ের স্টুডিও থেকে। পশ্চিমবঙ্গের ধারাভাষ্যকারদের সৌজন্যে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন ‘আতহার দা’ হিসেবে! ধারাভাষ্যের ফাঁকে জানালেন, অন্য রকম এক অভিজ্ঞতাই হচ্ছে তাঁর। সাবেক এ ওপেনারের কণ্ঠস্বর সাধারণত শোনা যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বেশির ভাগ বাংলাদেশের ম্যাচে। বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্যকক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দেখা যায় তাঁর উপস্থিতি। প্রায় দুই দশকের ধারাভাষ্য জীবনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দিলেও এই আইপিএলে তিনি আছেন শুধুই বাংলা ধারাভাষ্যকার হিসেবে।

মুম্বাই থেকে মুঠোফোনে আতহার বললেন, ‘সবকিছু ভালো চলছে। পুরো আইপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা আছে। তবে ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের হয়ে ম্যাচ খেলব বলে কদিনের বিরতি পড়বে। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা ভালো হচ্ছে।’

স্টার জলসা বাঙালি দর্শকদের কথা ভেবে পুরো বাংলার আমেজে আইপিএল সম্প্রচার করছে। স্কোরও যথাসম্ভব বাংলায় দিচ্ছে তারা। শতভাগ বাংলায় অবশ্য নয়। কিছুটা বাংলিশ। খেলোয়াড়দের নাম বাংলায় হলেও সংখ্যাগুলো রোমান হরফেই থাকছে। তবে ধারাভাষ্য হচ্ছে পুরো বাংলায়। আতহার আলীর কণ্ঠে বাংলা ধারাভাষ্য শোনাও দর্শকদের জন্য আনকোরা অভিজ্ঞতা হতে পারে।

বাংলায় অতটা সড়গড় না হলেও মায়ের ভাষায় ধারাভাষ্য দিতে পারাটা দারুণ উপভোগ করছেন আতহার, ‘আইপিএলের মতো একটা বড় টুর্নামেন্টে নিজের ভাষায় ধারাভাষ্য দিতে পারছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’