বিশ্বকাপের দলটাই বলে দিলেন বিসিবি সভাপতি!

বিসিবি সভাপতি নাজমুল ও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। ছবি: সৌজন্য
বিসিবি সভাপতি নাজমুল ও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। ছবি: সৌজন্য
বিশ্বকাপের দল কেমন হতে পারে? একাদশে পজিশন ধরে ধরে নামগুলো বলে দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ওপেনিংয়ে তামিম ও লিটন; তিনে সাকিব; চারে মুশফিক; পাঁচে মিঠুন; ছয়ে মাহমুদউল্লাহ, সাত ও আটে সৌম্য/সাব্বির/সাইফউদ্দিন/মিরাজ; নয়ে মাশরাফি, দশে রুবেল/তাসকিন, এগারো নম্বরে মোস্তাফিজ। এই ১৪ জনের বাইরে দলে থাকতে পারেন মোসাদ্দেক। হয়ে গেল ১৫ জনের স্কোয়াড!


২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড কেমন হবে? কেমন হতে পারে একাদশ। এ সম্পর্কে একটা ছবি কম-বেশি সবার মনেই হয়তো আঁকা শুরু হচ্ছে। বিশ্বকাপে সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল একটা অবয়ব নিয়েই ফেলেছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান একাদশে পজিশন ধরে ধরে নামগুলো বলে দিলেন।

সাত নম্বর পজিশনে একাধিক দাবিদার, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘সাত নম্বরে যদি দেখেন কে কে আছে, সাইফউদ্দিন আছে, মিরাজ আছে,সাব্বির আছে। আবার সৌম্য অনেক সময় নিচে নামতে পারে। কে খেলছে সেটা আমি এখনো জানি না। যদি ধরেন তামিম আর লিটন ওপেন করে, তাহলে তিন নম্বরে সাকিব খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। ও ওখানে খেলতে চায়। চারে তো মুশফিক। পাঁচে মিঠুন বা এ রকম কেউ একজন। ছয়ে রিয়াদ। সাতে তখন সৌম্য আসতে পারে। এ ছাড়া আছে সাব্বির। এখন সাব্বির আছে, সাইফউদ্দিন আছে। কারণ তিন পেসার তো খেলাবে। মোস্তাফিজ আর মাশরাফির একাদশে থাকা নিশ্চিত। আরেকটা পজিশনের জন্য রুবেল আছে, তাসকিন আছে। একটা স্পিনার যদি খেলাতে হয়, তাহলে মিরাজকে নিতে হবে।’

বিশ্বকাপ দল এখনই করে ফেলা যাচ্ছে, এ তো সুখবরই। তার মানে দলে স্থিতি আছে। দলের খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা আছে। কিন্তু কাজটা শেষ পর্যন্ত কঠিনই হবে বলে মনে করেন নাজমুল। কারণ, এখন এক পজিশনের জন্যই একাধিক দাবিদার। মিরপুরে সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আমি মনে করি একটা সমস্যা হবে, সেটা ইতিবাচক সমস্যা। আগে যেমন দল করা (যোগ্য ১৫ জন খুঁজে পাওয়া) কঠিন ছিল, এখন অনেক বিকল্প। আমাদের একটাই ঘাটতি মনে করছি, পেসারদের গতি কম। রুবেলের কিছুটা গতি আছে; সাইফউদ্দিন-মোস্তাফিজের অতটা নয়। তাসকিনের পেস আছে। লাইন লেংথ ঠিক রাখতে পারলে ও ভালো একটা বিকল্প।’

বিশ্বকাপ দলে তাই তেমন কোনো চমক জাগানিয়া খেলোয়াড় যে থাকবে না, সেটাও বলে দিলেন নাজমুল। থাকবে না আনকোরা নতুন কোনো নাম, ‘এটা চমকের বিষয় নয়। আমরা ১৫ জনের একটা দল বানাব। আপনি যদি নামগুলো দেখেন, তাহলেই তো বুঝবেন। নতুন কারও সম্ভাবনা খুবই কম। আমি বলছি না যে হবে না। কারণ আজকেও আমরা কথা বলছিলাম যে কিছু করা যায় কি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে যতই ভালো করুক, একটা নতুন খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া কঠিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য। উপমহাদেশে বিশ্বকাপটা হলে তবু কথা ছিল।’

বাংলাদেশ দলটা যতই থিতু হোক, শূন্যতা তো আছেই। একটা ভালো মানের লেগ স্পিনার নেই এই দলে! অথচ নেপালেরও এখন বিশ্বমানের লেগ স্পিনার আছে। আফগানিস্তানের রশীদ খান তো এখন বিশ্বের এক নম্বর লেগি। এখানে কেন পারছে না বাংলাদেশ? নাজমুল সমস্যাটা মানলেন, ‘প্রত্যেকটা দেশের একটা করে লেগ স্পিনার আছে। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যার কোনো লেগ স্পিনার নেই। কথা হয়েছে এই নিয়ে। তবে এক্ষুনি নিতে পারব না। কিন্তু দু-চারজনকে আমরা প্রস্তুত করতে চাই যাতে আগামী বছর তাদের সামর্থ্য পরীক্ষা করে নেওয়া যায়।’