বিশ্বকাপের আগে অকূল পাথারে পাকিস্তান

হেরেই চলেছে পাকিস্তান। ছবি : এএফপি
হেরেই চলেছে পাকিস্তান। ছবি : এএফপি
দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী সব দল এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। আর পাকিস্তান বিশ্বকাপ সামনে রেখে একের পর এক ম্যাচ হারছে


২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। তখন মনে করা হলো, ওয়াসিম-ইনজামামদের পর নতুন যুগের সূচনা করবে পাকিস্তানের এই দল। কিন্তু আসলে কি প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও মেটাতে পেরেছে পাকিস্তান?

পরিসংখ্যান বলছে, পারেনি। ফখর জামান, হাসান আলী, সরফরাজ আহমেদ, ইমাম-উল-হক, বাবর আজমদের পাকিস্তান ২০১৮ সালের শুরু থেকেই ওয়ানডেতে চূড়ান্ত অধারাবাহিক। আফগানিস্তান, হংকং ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচগুলো বাদ দিলে গত বছর থেকে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয় খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। এ সময়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলে দুটিতেই হেরেছে দলটি। হেরেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওয়ানডেতেও।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ওয়ানডের প্রত্যেকটিতে হেরেছে পাকিস্তান। জয়ের মুখ দেখেছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলে জিতেছে দুটিতে, হেরেছে তিনটিতে। ওদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আট ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরব আমিরাতে ওয়ানডে সিরিজেও হার নিশ্চিত করল পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের প্রথম তিনটিতেই হারল দলটি। এখন সামনে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা। আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের মূল খেলোয়াড়েরা যেন ঝরঝরে থাকেন, এ কারণে চলতি সিরিজে বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিল পাকিস্তান। যেমন—বাবর আজম, হাসান আলী, সরফরাজ আহমেদ। বিশ্বকাপের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখার এই নীতির সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেকরা।

শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘সিরিজটা অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী এক দলের সঙ্গে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে এমন শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেললে ওই সব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের কারণেই হয়তো আমরা বেশ কিছু ম্যাচ জিততাম, যেটা বিশ্বকাপের আগ দিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিত। আমার মনে হয় তারা দলের সঙ্গে থাকলেই ভালো হতো।’