বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী জেমি ডে

আগামী মে মাসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ইংলিশ কোচ জেমি ডের। বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ডের।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি

এশিয়ান গেমসে বাজিমাতের পর এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বেও দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। মাঝে কম্বোডিয়ার মাটিতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষেও জয়। স্বাভাবিকভাবে ফুটবল পাড়ায় চলছে কোচ জেমি ডে-বন্দনা। কিন্তু এমন ইতিবাচক আবহের মাঝেও শঙ্কা ছড়িয়ে উড়ছে একটি প্রশ্ন—ইংলিশ কোচকে রাখতে পারবে তো বাংলাদেশ? প্রথমত আগামী মে মাসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত বিভিন্ন সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছে, জেমিকে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিদেশি বেশ কয়েকটি দল।

কম্বোডিয়া, বাহরাইন ও কাতার মিলিয়ে লম্বা সফরের পর্যালোচনা নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে ছিল জেমির বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ নিয়ে। আশার কথা, জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও লম্বা করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জেমি, ‘বাফুফের সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করছি। আগামীকাল ইংল্যান্ড যাচ্ছি। আশা করি ফিরে এসে নতুন উদ্যমে আবার কাজ করব। আমি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী।’ দুই সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে আসবেন ব্রিটিশ কোচিং স্টাফ। এর মধ্যে হয়তো বাফুফে ও তারা নতুন চুক্তির আলাপ চালিয়ে যাবে।

এর মধ্যে শঙ্কা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ দলের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সূচি অর্থাৎ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি বাছাইপর্ব খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু র‌্যাঙ্কিংয়ে তলানিতে থাকায় বাংলাদেশকে এবার খেলতে হবে প্রাক-বাছাইপর্ব। গত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এশিয়ার শীর্ষ ৩৪ দলের মধ্যে থাকায় প্রাক-বাছাই খেলতে হয়নি। এখন বাংলাদেশের র‍্যাঙ্কিং এশিয়ান পর্যায়ে ৪২। বাছাই পর্ব খেলতে হলে প্রাক-বাছাই পর্ব উতরাতে হবে। প্রাক-বাছাইয়ে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস, কম্বোডিয়ার যে কেউ (এশিয়ার ৩৫-৪০ র‍্যাঙ্কিংধারী দল)। ৪ এপ্রিল ফিফা র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ হবে। ১৭ এপ্রিল বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ প্রাক-বাছাই উতরাতে না পারলে আগামী দুই-তিন বছর সেভাবে ফিফা-এএফসির খেলা থাকবে না। ফলে এই দুই ম্যাচের ওপর ভবিষ্যতের সবকিছু নির্ভর করছে। বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন বাংলাদেশ কোচও, ‘ম্যাচটির গুরুত্ব বুঝছি। ড্র হওয়ার পর আমরা চেষ্টা করব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার। ১০ দিনের প্রস্তুতি নিতে চাই। খেলোয়াড়েরা লিগের মধ্যে রয়েছে। ফিটনেস ও ম্যাচ টেম্পারামেন্ট এখন ভালোই।’