গেইলকে ছাপিয়ে নায়ক রাহুল

দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেছেন রাহুল। ছবি: এএফপি
দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেছেন রাহুল। ছবি: এএফপি

ঝড়-টড় যা তোলার সেটা ক্রিস গেইল আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল তুলেছেন। কিন্তু ম্যাচের নায়ক এঁরা কেউই নন। বরং প্রায় পুরোটা সময় বলের চেয়ে রানে পিছিয়ে থেকেও টি-টোয়েন্টিতে নায়ক বনে গেলেন কেএল রাহুল। ১৭৬ রান তাড়া করতে ৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জয় পাওয়ার পেছনে যে অবদান তাঁরই।

লক্ষ্যটা একটু কমই পেয়েছিল পাঞ্জাব। ১৩তম ওভারের মধ্যে ১২০ রান তোলা মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মাত্র ১৭৬ রানে থামবে সেটা ভাবা যায়নি। কিন্তু মোহাম্মদ শামির বলে কুইন্টন ডি কক (৩৯ বলে ৬০) আউট হওয়ার পর সেই যে পথ হারাল দলটি, আর খুঁজে পায়নি। পরিস্থিতির সঙ্গে বেমানান এক ইনিংস খেলেছেন যুবরাজ সিং। ২২ বলে ১৮ রান করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন। হার্দিক পান্ডিয়ার ১৯ বলে ৩১ রানেও ১৭৬ রানের চেয়ে বড় স্কোর পায়নি মুম্বাই।

পাঞ্জাবের শুরুটা হয়েছে গেইলময়। একদিকে গেইল ঝড় তুলছেন, অন্যদিকে রাহুল ডট বল দিচ্ছেন! পাওয়ার প্লে মাত্র ৩৮ রান এসেছে। এর মধ্যে ১০ রান রাহুলের, ১৬ বল খেলে! ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রানই করেছেন গেইল। ক্যারিবীয় ওপেনারের ২৪ বলের ইনিংস শেষ হওয়ার পরও নিজের ছন্দ পাল্টাননি রাহুল। রানের গতি ধরে রাখার দায়িত্ব আগারওয়ালকে দিয়েছেন। ৬৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও তাই রাহুলের অবদান মাত্র ১৮! ২১ বলে ৪৩ রান করে আগারওয়াল ফিরেছেন ১৪তম ওভারে।

জয় থেকে তখনো ৬০ রান দূরে পাঞ্জাব। ৩৯ বলে এ লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে উঠতে পারত। কারণ উইকেটে থাকা সেট ব্যাটসম্যানটি যে ৩০ রান তুলতেই খেলে ফেলেছেন ৩৬ বল। কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেই নিজের আসল রূপ দেখালেন রাহুল। পরের ২১ বলেই তুললেন ৪১ রান। মাত্র ৩১ বলে চলে এল প্রয়োজনীয় ৬০ রান। মাত্র ৬ চার ও ১ ছক্কার ইনিংস দিয়েই তাই দল জিতিয়ে ফিরলেন রাহুল। ১০ ম্যাচ পর রাজস্থান রয়্যালস ব্যতীত অন্য কোনো দলের বিপক্ষে জিতল পাঞ্জাব।