বিশ্বকাপে কী করতে হবে জানেন মিরাজ

বিশ্বকাপ ভাবনায় মগ্ন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ ভাবনায় মগ্ন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফাইল ছবি
>মেহেদী হাসান মিরাজের বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। আর বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোর জন্য কী করতে হবে, তা ভালোই জানা আছে মিরাজের।

বিশ্বকাপে কারা হচ্ছেন বাংলাদেশের সারথি?

১৫ জনের তালিকা চূড়ান্ত না হলেও প্রায় ধরেই নেওয়া যায় আসন্ন বিশ্বকাপে মেহেদী হাসান মিরাজের নামে টিকিট পাস হয়ে গেছে। মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি যে খসড়া তালিকার কথা বলেছিলেন, সেখানে ভালোভাবেই ছিল মিরাজের নাম। আর তরুণ এই তারকা বিশ্বকাপের জন্যই তো বিয়ের অনুষ্ঠানটাও জমিয়ে রেখেছেন।

প্রতিটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপে খেলা। ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষিক্ত হওয়া মিরাজের সে স্বপ্নটা পূরণ হওয়ার পথে। আর বিশ্বমঞ্চে আলো ছড়ানোর জন্য সাজিয়ে নিয়েছেন নিজের প্রস্তুতির সূচিও। মিরপুর একাডেমি মাঠে আজ অনুশীলন করতে এসে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সে পরিকল্পনা, ‘সামনে আমাদের আয়ারল্যান্ড সিরিজ আছে; এরপর আমরা ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে যাব। আমার কাছে মনে হয়, আমরা প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন যে এক মাস সময় পাব, এই সময়ের মধ্যেই নিজেদের গুছিয়ে নিতে হবে। কারণ আমাদের হাতে ওই রকম সময় নেই। ওই রকম সময় পাবও না, প্রিমিয়ার লিগের ফাঁকে ফাঁকে যত টুক প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব ততটুকুই নেব।’

খেলার সুযোগ পেলে কী করতে হবে তা ভালোই জানা ২০১৬ সালে দেশের মাঠে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মিরাজের, ‘আমাদের স্পিনারদের যে দায়িত্ব, সেটা হলো পেসারদের সহযোগিতা করা। কারণ উপমহাদেশে খেলা হলে স্পিনারদের ভূমিকাটা বেশি থাকত। কিন্তু ইংল্যান্ডে পেসারদের সহযোগিতা করতে হবে।’

২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা বাংলাদেশ দলে ছিলেন মিরাজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটিমাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ হলেও ইংলিশ কন্ডিশনটা ভালোই জানা ২১ বছরের তরুণের, ‘ইংল্যান্ডে আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছি, যেখানে দলের সঙ্গে আমিও ছিলাম। যদিও একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল। উইকেট খুব কাছ থেকেই দেখেছি, অনেক ভালো উইকেট থাকে। আমি যদি চেষ্টা করি ভালো জায়গায় বোলিং করার, তাহলে ব্যাটসম্যান অনেক সময় ভুল করে বসতে পারেন। ওইখানে তেমন স্পিন থাকবে না, সুন্দরভাবে বল ব্যাটে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, স্পিনারদের রান চেক দেওয়া খুব জরুরি। কারণ, ওই সব দেশে কিন্তু স্পিনাররা বেশি সাহায্য পাবেন না। উইকেট না বের করতে পারলেও ইকোনমিক্যাল বোলিং করতে হবে। ওভারপ্রতি পাঁচ-সাড়ে পাঁচ করে রান দিলে আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো বোলিং ফিগার। এর মধ্যে ২/১টি উইকেট নিতে পারলে তো অনেক ভালো।’