ধোনি থাকতে চেন্নাইয়ের ভয় কী!

আরেকটি ইনিংস, আরেকটি জয়। ছবি: এএফপি
আরেকটি ইনিংস, আরেকটি জয়। ছবি: এএফপি

ম্যাচের ফল ঠিক হওয়ার আগেই ম্যাচ সেরা নির্ধারিত হওয়া কি সম্ভব? আজ অন্তত উত্তরে হ্যাঁ বলতে হচ্ছে। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। তখনই নিশ্চিত হওয়া গেছে, এ ম্যাচের সেরা একজনই। আর সেটা মহেন্দ্র সিং ধোনি। ডোয়াইন ব্রাভোকে পার্শ্বনায়ক হিসেবে পেয়ে আরও একবার দল জেতালেন ধোনি। রাজস্থানকে ৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই।

চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল ভয়ংকর। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিদায় নিয়েছেন আম্বাতি রাইডু। উইকেট নয়, রানের ঘরে থাকা সংখ্যাটিই বেশি বিপজ্জনক ছিল। ২ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের রান ১! পাওয়ার প্লের মধ্যেই আরও ২ উইকেট হারিয়েছে চেন্নাই। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন ধোনি। সুরেশ রায়নাকে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সময় পাড় করেছেন ক্রিজে। ১০ ওভার শেষেও চেন্নাইয়ের রান ছিল ৫৫।

১৪তম ওভারে ৬১ রানের জুটি ভাঙে। ৩৬ রানে ফেরেন রায়না। ১৯তম ওভারে ২৭ রানে ফিরে গেছেন ডোয়াইন ব্রাভোও।। তবু ২০ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের রান ১৭৫। শেষ ১০ ওভারে এসেছে ১২০ রান! কীভাবে? ওই যে উইকেটে ধোনি ছিলেন। রায়না যখন আউট হয়েছেন , ধোনির নামের পাশে তখন ২টি চার। ২৬ বল করেছেন ২৮ রান। আর শেষ ওভারে তিন ছক্কা মেরে যখন মাঠ ছাড়ছেন তখন নামের পাশে ৪ চার ও ৪ ছক্কা। ৪৬ বলে ৭৫ রান। এর মাঝে শেষ ৩৭ রান এসেছে মাত্র ১২ বল থেকে।

রাজস্থানের শুরুটা হয়েছে আরও ভয়ংকর। ৩.১ ওভারের মধ্যে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। রাহুল ত্রিপাতি ও স্টিভ স্মিথ মিলে ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের মতোই ঠিক ৬১ রানেই থেমেছে রাজস্থানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ত্রিপাতি (৩৯) ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেননি স্মিথও। প্রত্যাবর্তনের পর প্রতিদিন ঝড় তুলছেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু স্মিথ আজও রইলেন ছায়া হয়ে। ৩০ বলে ২৮ রান করে দলকে বিপদে রেখে গেছেন স্মিথ।

১২০ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানও বিদায় নিলে রাজস্থান হারবে বলেই মনে হয়েছিল। ২৩ বলে ৫৬ রান একটু কঠিনই। কিন্তু বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া জফরা আর্চার সে ওভারেই এনে দিলেন ১২ রান। পরের ওভারে স্টোকস আর আর্চার মিলে তুললেন ১৯ রান। শেষ ২ ওভারে ২৫ রান দরকার রাজস্থানের। ১৯তম ওভারে ঠাকুর দিলেন ১৩ রান। শেষ ওভারের ১২ রানের সমীকরণে রাজস্থানই এগিয়ে!

কিন্তু ব্রাভোর প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন স্টোকস। ২৬ বলে ৪৬ রান করা স্টোকস বিদায় নেওয়া মানে দলটির শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানও বিদায় নিলেন। দ্বিতীয় বলেও ডট! তৃতীয় বলে এল এক রান। ৩ বল থেকে করতে হবে ১১ রান। চতুর্থ বলে এল ১ রান। শেষ দুই বলে দুই বাউন্ডারির সমীকরণ মেলানোর ঝামেলায় গেলেন না গোপাল। পঞ্চম বলেই আউট হয়ে ঝামেলা মেটালেন। শেষ বল তাই হয়ে রইল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ধোনির পাশে পার্শ্বনায়ক হিসেবে দাঁড়ালেন ব্রাভো।