ওয়ার্নারকে বয়কট করার কথা বলেননি স্টার্করা

ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখেননি অস্ট্রেলিয়ার চার বোলার। ছবি: এএফপি
ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখেননি অস্ট্রেলিয়ার চার বোলার। ছবি: এএফপি

১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ডেভিড ওয়ার্নার আছেন অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরার অপেক্ষায়। কিন্তু বল টেম্পারিং বিতর্কে তাঁকে ঘিরে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা না কেটে বরং আরও জট পাকাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা যেদিন শেষ হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম সেদিনই খবর ছেপেছে—গত বছরের ২৫ মার্চে কেপটাউনে টেস্টে বল টেম্পারিং-কাণ্ডের ‘মূল হোতা’ ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ না করলে জোহানেসবার্গে পরের টেস্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার চার শীর্ষ বোলার। তবে গতকাল এই খবরকে ‘মিথ্যা’ ও ‘অতিরঞ্জন’ বলেছেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন, বয়কটের বিষয়টি অস্বীকারও করেছেন তাঁরা।

এক যৌথ বিবৃতিতে এই চার বোলার বলেছেন, ‘খবরটিতে বলা হয়েছে, ডেভিড ওয়ার্নার খেললে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের চতুর্থ টেস্টে আমরা খেলতাম না। অনেক দিক থেকেই এই অভিযোগ হতাশাজনক। এর চেয়েও বড় কথা হলো, খবরটি মিথ্যা।’ এই অভিযোগ ওয়ার্নারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেও মনে করেন তাঁরা, ‘দল হিসেবে আমরা সব সময় একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার কথাই ভাবি। আর বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলকে সাহায্য করতে চাই।’

কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের জের ধরে সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নারকে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ক্যামেরন ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ৯ মাসের জন্য। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ব্যানক্রফট অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন আবার। আর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার আগেই স্মিথ-ওয়ার্নারকে দলে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আরব আমিরাতে সিরিজ শুরুর আগে দলের তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেন তাঁরা। সেখানে দলের অন্য সদস্যরা তাঁদের স্বাগত জানিয়েছেন দুহাত বাড়িয়ে।

তবে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এ প্রকাশ হওয়া ওই বয়কটের প্রতিবেদনের পর স্মিথ-ওয়ার্নারদের দলে ফেরা নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ফিঞ্চের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া দল অনেকটাই গুছিয়ে উঠেছে। ২০০৯ সালের পর আবার ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। আরব আমিরাতে সিরিজ জয় করেছে পাকিস্তানের বিপক্ষেও। এমন একটি সময় বিশেষ করে ওয়ার্নারকে ফেরালে দলের ছন্দে পতন ঘটবে কি না, প্রশ্নের উত্তরে সিএর প্রধান কেভিন রবার্টস বলেছেন, ‘ডেভ, স্টিভ ও ক্যামেরনকে ফেরাতে কীভাবে সাহায্য করা যায়, আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। দল যে ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটি ঠিক রাখাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।’