বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপের আগে ঠিকই ফর্মে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপের আগে ঠিকই ফর্মে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: এএফপি
>পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ফর্ম দেখে পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থারও মানতে রাজি হয়েছেন, বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার অজিরা।

বিশ্বকাপের আগে এমন প্রস্তুতি চায়নি পাকিস্তান। ওদিকে অস্ট্রেলিয়ার কথা বিবেচনা করলে, বিশ্বকাপের আগ দিয়ে ঠিক এমন একটা দাওয়াইয়ের দরকার ছিল তাদের। এশিয়ায় এসে এশিয়ার এক দলকে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই নিয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ফর্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন খোদ পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থারও।

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার আগে ভারতের বিপক্ষেও ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে বিশ্বকাপ জিতে যেতে পারে ফিঞ্চ-ওয়ার্নাররা, এমনটাই ভাবছেন আর্থার, ‘অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জেতার যোগ্যতা রাখে। বেশ কিছুদিন ধরে ঘরের বাইরের ম্যাচগুলো তারা অনেক ভালো খেলছে। তাদের দলের মধ্যে যেসব সমস্যা ছিল ধীরে ধীরে সেগুলো সমাধান করে ফেলছে। বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার হতে যাচ্ছে তারা। আমার মনে হয়, এখন সাতটার মতো দল রয়েছে, যারা বিশ্বকাপ জিততে পারে।’

বিশ্বকাপের আগে ঠিক যেমন প্রস্তুতি চেয়েছিলেন, ঠিক তেমনটাই পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, ‘বিশ্বকাপের আগে এটাই আমাদের শেষ সিরিজ। তাই আমরা চেয়েছিলাম যেকোনো মূল্যে এই সিরিজে ভালো করতে। ধারাবাহিকভাবে জিতে বিশ্বকাপে যাব, এমনটাই পরিকল্পনা ছিল আমাদের।’ ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঠিক অস্ট্রেলিয়ার মতো দেখা যায়নি। ১৩ ওয়ানডে খেলে ১১টিতেই হেরেছিল তারা। ফলে তাদের নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে এখন দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ খেলতে যাবে, জানালেন ফিঞ্চ, ‘বিশ্বকাপে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। যদিও কিছুদিন আগেও অনেকে আমাদের হেলাফেলা করছিল।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মূল দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ব্যাটসম্যান বাবর আজম, বোলার হাসান আলী—এই সিরিজে কাউকেই খেলানো হয়নি। ফলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পাকিস্তানে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি শহীদ আফ্রিদির মতো তারকারা। সিরিজ শেষে নিজেদের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে চেয়েছেন মিকি আর্থার ও সরফরাজ আহমেদ, ‘যেকোনোভাবে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। গত সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, তারপর পাকিস্তান সুপার লিগ, আমাদের কিছু খেলোয়াড় একটানা খেলে যাচ্ছে, তাই আমরা তাদের কিছুদিন বিশ্রাম দিয়েছি।’