রিয়াল মাদ্রিদের দলবদল নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন জিদান

দ্বিতীয় পর্বে রিয়ালের কোচ হিসেবে হারেননি জিদান। ছবি: এএফপি
দ্বিতীয় পর্বে রিয়ালের কোচ হিসেবে হারেননি জিদান। ছবি: এএফপি

লা লিগায় শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছেন অনেক আগেই। সোলারি দায়িত্বে থাকার সময়ই ছিটকে পড়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও কোপা দেল রে থেকে। রিয়াল মাদ্রিদ যেন এখন কূল হারানো নৌকা। এমন অবস্থায় জিনেদিন জিদানের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দ্বিতীয় প্রধান কাজ হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন লিগ খেলার যোগ্যতা নিশ্চিত করে লিগ শেষ করা। আর প্রথম দায়িত্ব? আগামী মৌসুমের জন্য দলটাকে গুছিয়ে আনা।

জিদানের হাতে আছে মাত্র ৯টি ম্যাচ। এ ম্যাচগুলো দেখেই জিদানকে বুঝে নিতে হবে আগামী মৌসুমে কাকে কাকে দলে রাখবেন, কাদের ছাঁটাই করবেন। আর সে শূন্যস্থান পূরণ করতে কোন কোন খেলোয়াড়কে দলে আনবেন। তবে মৌসুম শেষ হওয়ার আগে সম্ভাব্য দলবদল নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন জিদান।

মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন—এমন তালিকায় কম খেলোয়াড়ের নাম ওঠেনি। ক্রুস, মদরিচ, বেল, মার্সেলো, ভারানে, ইসকো, অ্যাসেনসিও—বাদ নেই কেউ। হুয়েস্কা ম্যাচের বিপক্ষে এঁদের অনেকেই মাঠে ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে তাই সবাই জেঁকে ধরেছিল কারা কারা দল ছাড়ছে—এটা জানার আশায়। উত্তরটা একটু কড়াভাবেই দিলেন জিদান, ‘সামনের বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে। কিন্তু এই দলে যারা আছে, তাদের সম্মান দেখানো উচিত। ড্রেসিংরুমে খালি করে দেওয়ার কথা খুবই অসম্মানজনক।’ তবে দলে নতুন মুখ যে আসবে, সেটা নিশ্চিত করে দিয়েছেন জিদান, ‘হ্যাঁ, দলে অনেক পরিবর্তন আসছে। অনেকেই আসবে–যাবে। তবে এটা আলোচনা করার সময় এখন না। পরে এই ব্যাপারে কথা হবে।’

জিদানের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাফায়েল ভারানে। হোসে মরিনহোর সময়ে ভারানেকে ফ্রান্স থেকে রিয়াল মাদ্রিদ আসতে রাজি করিয়েছিলেন জিদানই। কিন্তু মাত্র ২৬ বছর বয়সেই ফুটবল ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সবকিছু জেতার পর রিয়াল ছাড়তে চাইছেন ভারানে, অন্তত স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি এমনটাই। গত ম্যাচে প্রথম একাদশে তাঁকে না দেখে গুঞ্জনের পাল্লা ভার হয়েছে আরও। যদিও জিদান এসব গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘যদিও ভারানে এখানে আট বছর ধরে আছে, তবু সে একজন তরুণ খেলোয়াড়। তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে। আমি ভারানে ছাড়া রিয়ালকে ভাবতে পারছি না। সে আমাকে এখনো এ ব্যাপারে কিছুই বলেনি। সে বিশ্বের সেরা ক্লাবে খেলছে এবং সে সেটা জানে। এখানে থাকলে সে কিছু না কিছু জিতবেই।’

লুকা জিদানকে নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে জিদানকে। হুয়েস্কার বিপক্ষে কেইলর নাভাসের পরিবর্তে নিজের দ্বিতীয় পুত্রকে নামিয়েছেন। কিন্তু দুই গোল হজম করে বাবাকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী লুকা। তবে নিজের ছেলে বলে কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি বলেই দাবি জিদানের, ‘লুকা নিজের যোগ্যতাতেই এখানে এসেছে। অন্য কোনোভাবে নয়। সে ১৬ বছর ধরে রিয়ালে আছে এবং তার সুযোগটা আসলেই প্রাপ্য। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়কে নিয়ে থাকে তবে আমার কিছু বলার নেই।’