ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান মাঠে নয়, মলে!

এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: আইসিসি
এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: আইসিসি
এবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা মাঠে নয়। আয়োজন করা হচ্ছে মলে। বিখ্যাত জায়গাটি ব্রিটিশদের কাছে অনেক গর্বের।


ইংল্যান্ডে সর্বশেষ বিশ্বকাপ হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ২০ বছর আগের সে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান লেজেগোবরে হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসের অনুষ্ঠানে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়েছিল ফোটানোর জন্য আনা বাজিগুলোও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা প্রত্যাশামতো করতে না পারার দুঃখটা ভোলার কথা নয় আয়োজকদের। এবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা তাই আগের মতো করতে চাইছে না আয়োজকেরা। আজ আইসিসি জানিয়েছে, এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাঠে নয়, হবে দ্য মলে।

দ্য মল ব্রিটিশদের গর্বের এক জায়গা। লন্ডনের এই জায়গাকেই বড় কোনো উদ্‌যাপনের জন্য বেছে নেয় ব্রিটিশরা। এখানেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় উৎসব করেছে তারা। রানি এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান হয়েছে এখানেই। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয় এখানে। আইসিসিও বেছে নিচ্ছে ব্রিটিশদের বিখ্যাত জায়গাটি, এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে দ্য মলে।

বিশ্বকাপ শুরু আগামী ৩০ মে ওভালে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে। এর এক দিন আগে, অর্থাৎ ২৯ মে মলে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাকিংহাম প্যালেসকে পেছনে রেখে হবে অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানকে ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান’ করার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে আইসিসি। স্থানীয় সময়ে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে ১১টা)—এক ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে থাকবে নানা রকম খেলাধুলা, গান-বাজনায় ভরপুর। জাঁকাল অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করবেন চার হাজার ভাগ্যবান দর্শক, যাঁদের বেছে নেওয়া হবে লটারির মাধ্যমে। এক ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিভ এলওয়ার্দি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা পুরো বিশ্বকে দেখাব, কেন তারা পরের ৪৫ দিন ক্রিকেট উপভোগ করবে। বিশ্বকাপ, ক্রিকেট ও খেলাধুলার বৈচিত্র্য উদ্‌যাপন করব আমরা।’