কোহলিদের কেন এই দুর্দশা

আইপিএলে হারের বৃত্তে আটকা কোহলির বেঙ্গালুরু। ছবি: এএফপি
আইপিএলে হারের বৃত্তে আটকা কোহলির বেঙ্গালুরু। ছবি: এএফপি
>

আইপিএলে এখনো জয়ের দেখা পায়নি বেঙ্গালুরু। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না কোহলিও। কোহলি-ডি ভিলিয়ার্স যে দলে, ৪ ম্যাচে তাদের স্কোর গড়ে ১৫০ রানও হচ্ছে না

৪ ম্যাচে রান ৭৮ রান। গড় ১৯.৫০। ব্যাটসম্যানের নাম বিরাট কোহলি! নামটা কোহলি বলেই বসাতে হচ্ছে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন। কাল রাজস্থানের কাছে হারের পর বেঙ্গালুরু অধিনায়কের মুখটা ভীষণ শুকনো দেখাল। যেভাবে তাঁর দল টানা হারছে, পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে পড়ে থাকছে, মুখে হাসি ফুটবে কী করে? কিন্তু কোহলিদের এই দুর্দশা কেন?

কোহলি কাল অসহায় কণ্ঠে বললেন, টানা হারতে হারতে তাঁদের দল কতটা টালমাটাল, ‘যদি আমরা অনেক ভুল করতে থাকি, আপনাকে হারতেই হবে। আইপিএলের মতো একটা টুর্নামেন্টে কোনো দলের যখন ছন্দ থাকে না, তখন তাদের জন্য সবকিছুই কঠিন হয়ে যায়। দল ভালো শুরু করতে পারছে না। যেভাবে ক্যাচ হাতছাড়া হচ্ছে, সত্যি দেখতে খারাপ লাগছে। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

কোহলিরা কবে ঘুরে দাঁড়াবেন, সে আশায় দিন গুনছেন বেঙ্গালুরু-সমর্থকেরা। বেঙ্গালুরুকে বেশি ভোগাচ্ছে বাজে ব্যাটিং। নিজেদের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে অলআউট হয়েছে ৭০ রানে। পরের ম্যাচে মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৮৮ রান তাড়া করতে পারেননি কোহলিরা, হেরেছেন ৬ রানে। হায়দরাবাদের বিপক্ষে তো আরও বাজে অবস্থা। ২৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৩ রানে অলআউট। আর কাল তাদের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য রাজস্থান পেরিয়েছে ৭ উইকেট হাতে রেখে। চার ম্যাচে বেঙ্গালুরু গড়ে ১৩০ রানের স্কোর গড়েছে। কোহলি-এবি ডি ভিলিয়ার্স যে দলে, তাদের স্কোর গড়ে ১৫০ রানও হচ্ছে না—ভাবা যায়! ৪ ম্যাচে দলের দুজন ব্যাটসম্যান মাত্র দুটো ফিফটি পেয়েছেন।

কোহলি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। প্রোটিয়া বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্সও ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারছেন না। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ারও এখনো বলার মতো কিছু করতে পারেননি। তারকা ব্যাটসম্যানরা নিষ্প্রভ থাকায় বড় মূল্যই দিতে হচ্ছে বেঙ্গালুরুকে। কাল যেমন রাজস্থানের বিপক্ষে কোহলি স্বীকার করে নিলেন, তাঁরা ১৫-২০ রান কম করেছেন। বেঙ্গালুরুর ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না। খেলোয়াড়দের অনেকে শতভাগ ফিট নন।

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং একসঙ্গে ‘ক্লিক’ করছে না। চোটাঘাত তো আছেই। বেঙ্গালুরুর কাছে জয় তাই হয়ে যাচ্ছে দূরের বাতিঘর। তবে কোহলির আশা, সেই বাতিঘরের দেখা দ্রুতই পাবেন তাঁরা, ‘কীভাবে ভারসাম্যপূর্ণ দল করা যায়, আমরা বসব, কথা বলব। আশা করি, খেলোয়াড়দের সজীব-চনমনে চেহারায় পাব এবং তারা ম্যাচ জেতানো খেলাটাই খেলবে।’