লাল কার্ড দেখিয়ে সেঞ্চুরি করলেন রেফারি!

>
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১০০ বার লাল কার্ড দেখানো হয়ে গেল ডিনের । ছবি: টুইটার
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১০০ বার লাল কার্ড দেখানো হয়ে গেল ডিনের । ছবি: টুইটার

প্রিমিয়ার লিগে লাল কার্ডের সেঞ্চুরি পূরণ করলেন ইংলিশ রেফারি মাইক ডিন। ১৯৮৫ সালে রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু করা ডিন প্রিমিয়ার লিগে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ২০০০ সাল থেকে

খেলার মাঠে সেঞ্চুরি কত ধরনেরই হয়। ক্রিকেট মাঠে অহরহ ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি করেন। ফুটবল মাঠেও খেলোয়াড়দের গোলের সেঞ্চুরি দেখা যায়, সেটিও কালে-ভদ্রে। গোলের সেঞ্চুরি এত সহজ নয়। কিন্তু এই সেঞ্চুরি একটু অন্য রকম। এবার সেঞ্চুরি করেছেন এক রেফারি। তাও আবার লাল কার্ড দেখিয়ে! কাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-উলভসের ম্যাচে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার অ্যাশলি ইয়াংকে লাল কার্ড দেখিয়ে শতক পূরণ করেছেন রেফারি মাইক ডিন।

প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রেফারিং করার রেকর্ড এখনো মাইক ডিনের। ১৯৮৫ সালে রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু করা ডিন প্রিমিয়ার লিগে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ২০০০ সালে। প্রথম ম্যাচ ছিল লেস্টার সিটি বনাম সাউদাম্পটনের। প্রথম লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন ‘হ্যান্ডবল’ করায়, নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের নলবার্ট সোলানোকে। সেই শুরু। ১৯ বছরের প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে প্রতি ৪.৭ ম্যাচে অন্তত একবার হলেও লাল কার্ড দেখিয়েছেন ডিন। অবশেষে ইয়াংকে দিয়ে ৪৭৭ ম্যাচে শতক পূরণ করলেন মাইক ডিন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ছিল মাইক ডিনের এই মৌসুমের ২৪ তম ম্যাচ। ম্যাচের প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি। ৫২ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখান অ্যাশলি ইয়াংকে। ৫ মিনিটের মধ্যেই আরেকটি হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে তাঁকে বেরই করে দেন ডিন। তখনই লাল কার্ডের শতক পূর্ণ হয়ে যায় মাইক ডিনের। এই মৌসুমে এটি তাঁর দশম লাল কার্ড। তিন মাস আগে শেষবার প্রিমিয়ার লিগে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন ডিন। অবাক করা বিষয় হল ক্যারিয়ারে দুইবার লাল কার্ড দেখেছেন ইয়াং, দুইবার–ই রেফারি ছিলেন ডিন। 

ডিনের ‘অর্জনে’ কাল অবশ্য ভাগ্য পুড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ১৩ মিনিটে স্কট ম্যাকটমিনাইয়ের গোলে এগিয়ে যায় ‘রেড ডেভিল’রা। কিন্তু দ্রুতই ম্যাচে ফেরত আসে উলভার হ্যাম্পটন। ২৫ মিনিটে জোটার গোল সমতা আসে উলভসের। লাল কার্ড হজম করে ১০ জনে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলাতেই ছিল ইউনাইটেড। কিন্তু তারপর বিপদ ঘাড়ে করে নিয়ে আসেন আরেক ডিফেন্ডার স্মলিং। ম্যাচে সমতা থাকা অবস্থায় আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। ফলে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইউনাইটেড। ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া ইউনাইটেডকে আর ট্র্যাকে ফেরাতে পারেননি কেউই।

পূর্ণরূপে দায়িত্ব পাওয়ার পর সুলশারের প্রথম হার এটি। প্রিমিয়ার লিগের শেষ চারের পথ আরও কঠিন করে দিল এই হার। এই ম্যাচ জিতলে ৩ নম্বর পজিশনে চলে যেত ইউনাইটেড। কিন্তু ম্যাচ হেরে ১ ম্যাচ বেশি খেলে টটেনহামের সমান ৬১ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড এখন পঞ্চমে।