বড় স্বপ্নের পেছনে ছুটছেন চীনের প্রেসিডেন্ট

>
ফুটবল পাগল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: এএফপি
ফুটবল পাগল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: এএফপি

দেশের ফুটবল নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। সে লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছেন তিনি।

মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো করে বলেননি, তবে ফুটবল নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়েরও একটা স্বপ্ন আছে। চীনকে একদিন বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান। চীনের ফুটবল লিগে যে তারার মেলা, সেটির পেছনেও দেশটির ফুটবলপ্রেমী প্রেসিডেন্টের স্বপ্নেরই মূল ভূমিকা।

কিন্তু তারকাদের লিগে এনে না হয় লিগের পরিচিতি বাড়ানো গেল, মানও একটু বাড়ল, কিন্তু জাতীয় দল তো অন্ধকারেই রয়ে যাচ্ছে। চীন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭৬তম। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে লড়ে এশিয়াতেই এখনো বড় শক্তি হতে পারেনি, বিশ্বে বড় শক্তি হওয়া তো পরের কথা! এবার তাই একেবারে শিকড়ে পানি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সি চিন পিং ও চীনের ফুটবল। ১৪০ কোটি মানুষের দেশে ফুটবলার বানানোয় নজর দিয়েছেন, দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠা করছে ‘ফুটবলভিত্তিক’ কিন্ডারগার্টেন স্কুল।

এখন পর্যন্ত একবারই বিশ্বকাপে খেলেছে চীন। সেটিও ২০০২ সালে সেই বিশ্বকাপের দুই এশিয়ান স্বাগতিক জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বাছাইপর্বে খেলতে হয়নি বলে! বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন তাই বলতে গেলে অমূলকই। কিন্তু স্বপ্নটা দেখছেন সি চিন পিং।

প্রতিটি রাজ্যে ৫০ থেকে ২০০টি কিন্ডারগার্টেন হবে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই পাইলট প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো জনপ্রিয় ফুটবল ম্যাচগুলোর মাধ্যমে ফুটবলে শিশুদের আগ্রহ তৈরি করা, এমন একটা আবহ গড়ে তোলা, যেটি ফুটবলের সংস্কৃতির অনুকূলে থাকে।’ কিন্ডারগার্টেনগুলোতে কীভাবে শিশুদের খেলা শেখানো হবে, দিয়েছেন সেটির ধারণাও, ‘শিশুদের উপযোগী অনেক শারীরিক কসরত থাকবে, যেখানে শিশুদের দৌড়, লাফ, উঁচুতে চড়া, থ্রো, বলে শট নেওয়া...এসব শেখানো হবে।’

এখন শুধু সুফলটা পেতে চীনকে ধৈর্য ধরতে হবে ১০-১২ বছরের মতো, এ-ই তো!