কোহলির হাসি কেড়ে নিলেন রাসেল

>আন্দ্রে রাসেলের ১৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বেঙ্গালুরুর দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট ও ৫ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে কলকাতা
দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রাসেল। ছবি: এএফপি
দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রাসেল। ছবি: এএফপি

দিনেশ কার্তিক আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলির উচ্ছ্বাস হলো দেখার মতো। স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শূন্যে ঘুষি ছুড়লেন। উচ্ছ্বসিত হবেন না কেন, হারতে হারতে ক্লান্ত কোহলি যে তখন জয়ের আভাস পাচ্ছিলেন।

১৭ ওভার শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রান ৫ উইকেটে ১৫৩। ১৮ বলে তাদের দরকার ৫৩ রান। টি-টোয়েন্টিতে এ সমীকরণ মেলানো অসম্ভব নয়। তবে ভীষণ কঠিন। কলকাতার এই সমীকরণ মেলানোর দায়িত্ব নিলেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আন্দ্রে রাসেল। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পরিষ্কার আবহাওয়ায় ছক্কার বৃষ্টি নামালেন! স্টয়নিসের করা ১৮তম ওভারে মারলেন দুটি। তবে রাসেলের কাছে বেশি ধোলাই খেলেন টিম সাউদি। সাউদির করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বল থেকে স্ট্রাইক পাওয়ার পর রাসেলের স্কোরিং শট: ৬, ৬, ৬, ৪, ৬!

সাউদিকে যেন বলই ফেলতে দিচ্ছিলেন না রাসেল। যে লেংথে, যে লাইনে বোলিং হোক রাসেল সেটি আছড়ে ফেলেছেন বাউন্ডারির ওপারে। ১২ বলে ৩০ রানের সমীকরণ চট করে নেমে এল ৬ বলে ১ রানে! রাসেলের এই ঝড় দেখে ধারাভাষ্যকাররা একটা কথাই বারবার বললেন, ‘অবিশ্বাস্য!’

কলকাতা ইনিংসের ১৭ ওভারের আগ পর্যন্ত কোহলির মুখে হাসি ছিল। শেষ পর্যন্ত আবারও মাঠ ছাড়লেন শুকনো মুখে। আজ বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের হাসি কেড়ে নিয়েছেন রাসেল। কলকাতার ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ১৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে। ১টা চার, ছক্কা মেরেছেন ৭টি। স্ট্রাইকরেট ৩৬৯.২৩!

রাসেলকে আটকাতে হলে যে বোলিং দরকার ছিল, সেটি না হওয়ায় ম্যাচশেষে বোলারদের কাঠগড়ায় তুললেন কোহলি, ‘শেষ চার ওভারে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, এই হার আমাদের পাওনাই ছিল।’

বোলারদের ব্যর্থতায় ঢেকে গেছে কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসটা। আজ দারুণ ব্যাটিং করেছেন। বেঙ্গালুরু পেয়েছে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের বড় স্কোর। ঘরের মাঠে এই স্কোরই ডিফেন্ড করতে পারেননি বেঙ্গালুরুর বোলাররা, কোহলির মুখে হাসি থাকবে কী করে!