কোহলির অধিনায়কত্ব 'শিক্ষানবিশি' পর্যায়ের!

বিরাট কোহলি। কলকাতার বিপক্ষে হারের পর। ছবি: এএফপি
বিরাট কোহলি। কলকাতার বিপক্ষে হারের পর। ছবি: এএফপি
>

আবারও বিরাট কোহলির নেতৃত্বের সমালোচনা করলেন গৌতম গম্ভীর

আইপিএলে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। পাঁচ ম্যাচেই হেরেছে বিরাট কোহলির দল। সবশেষ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দুইশোর্ধ্ব সংগ্রহ নিয়েও তারা জিততে পারেনি। এভাবে হারলে স্বাভাবিকভাবেই দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সংবাদমাধ্যমও ঠিক এ প্রশ্ন তুলেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরাট কোহলিকে। বিশ্বকাপের আগে নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা কোহলির জন্য বেশ বড় ধাক্কাই। এবার সেই ধাক্কাটা আরও জোরালো করলেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে লেখা এক কলামে দেশটির সাবেক এই ওপেনারের মন্তব্য, কোহলি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওস্তাদ হলেও অধিনায়ক হিসেবে শিক্ষানবিশি করছেন।

গম্ভীর বেশ আগে থেকেই অধিনায়ক কোহলির সমালোচক। এবার আইপিএলের শুরুতে প্রশ্ন তুলেছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ককে নিয়ে, ‘তাকে (কোহলি) বিচক্ষণ অধিনায়ক বলে মনে হয় না। তেমন কুশলী অধিনায়ক ও নয়। আর সে আইপিএলও জেতেনি। অধিনায়ক কতটা ভালো, তা বলে দেয় রেকর্ড। আইপিএলে তিনবার শিরোপাজয়ী খেলোয়াড়ও আছেন—এম এস ধোনি ও রোহিত শর্মা। তাই আমার মনে হয়, এখনো তাকে (কোহলি) অনেক দূর যেতে হবে।’

এই কোহলি আবার ভারতের অধিনায়ক হিসেবে বেশ আগ্রাসী। বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করেন, দলে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ‘থিংক ট্যাংক’ থাকায় কোহলির কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। সে যা–ই হোক, আইপিএলে আরসিবি অধিনায়ক হিসেবে কোহলির অবদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন গম্ভীর। সাত-আট বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েও কোহলি তাঁর দলকে শিরোপা জেতাতে পারেননি। গম্ভীর তাই বলেছিলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে তার ধন্যবাদ জানানো উচিত, কারণ এখনো তার ওপর ভরসা করে আছে। কারণ, কোনো টুর্নামেন্ট না জিতেও এত সময় থাকার সুযোগ খুব বেশি অধিনায়কের হয় না।’

আর এবার কোহলিকে ‘শিক্ষানবিশ’ অধিনায়কের পর্যায়ে রাখলেন ভারতের সাবেক এই ওপেনার। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় নিজের কলামে গম্ভীর লেখেন, ‘ব্যাটসম্যান কোহলি একজন নিখাদ ওস্তাদ, কিন্তু অধিনায়ক কোহলি শিক্ষানবিশ পর্যায়ের। তাকে প্রচুর শিখতে হবে। বোলারদের ওপর দোষ না চাপিয়ে সব দায় তার নিজের কাঁধে নেওয়া উচিত। একটা উদাহরণ দেওয়া যায়। সিরাজের ওভারটি শেষ করতে স্টয়নিসের বদলে তার উচিত ছিল বাঁ হাতি স্পিনার পবন নেগিকে দিয়ে করানো। কারণ, উইকেটে বল বাঁক নিচ্ছিল। রাসেল বলে গতি পছন্দ করে, এটা বোঝা খুব সহজ ব্যাপার।’

কলকাতার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর হারকে উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন গম্ভীর। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান এর আগে কলকাতাকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএল শিরোপাও জিতেছেন। বেঙ্গালুরু পেসার টিম সাউদির বোলিংয়ে আশাহত হয়েছেন গম্ভীর। তাঁর মতে, বেধড়ক মার খাওয়ার সময় বারবার পরিকল্পনা পাল্টানো উচিত হয়নি সাউদির। আর তাঁকে এ পরামর্শ দেওয়া উচিত ছিল অধিনায়ক কোহলির। গম্ভীর কলামে লেখেন, ‘সাউদির বোলিংয়ে আশাহত হয়েছি। এত অভিজ্ঞতা নিয়ে সে শুধু পরিকল্পনা বদলেছে। তখন অধিনায়ক মানে কোহলির উচিত ছিল সাউদিকে নিজের পরিকল্পনা মনে করিয়ে দেওয়া। মনে আছে, ক্রিস গেইলের বিপক্ষে বোলারদের সব সময় বলেছি, যত মার-ই খাও পরিকল্পনা পাল্টাবে না।’