ঝড়ের আগেই আবাহনীর জয়

জীবনের গোলের পর আবাহনীর উদ্‌যাপন। ছবি: বাফুফে
জীবনের গোলের পর আবাহনীর উদ্‌যাপন। ছবি: বাফুফে
>বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

ম্যাচের শুরু থেকেই থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি। ৩৯ মিনিটে হঠাৎ আচমকা ঝড়। অবস্থা এতটাই বেগতিক, খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন রেফারি। ম্যাচ বন্ধ থাকল ৪০ মিনিট। কিন্তু তার আগেই ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয়ে আবাহনীর দুটি গোলই হয়েছে ঝড়ের আগে।

আগের ম্যাচে এএফসি কাপে জয় পেয়েছে আবাহনী। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ম্যাচে জয়ের পর চট্টগ্রাম আবাহনী আর এমন কী! কাঠমান্ডুর সেই উজ্জীবিত শরীরী ভাষাই পাওয়া গেল জীবন, সানডেদের প্রতিটি মুভে। আর তাঁদের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বৃষ্টিস্নাত মাঠ। আদর্শ নরম ও সবুজ মাঠ পেয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হয়ে উঠল ক্ষুধার্ত। শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যেই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিল দুবার। প্রথমে বক্সের বাইরে থেকে ফাহাদের শট দুর্দান্ত সেভ করেছেন চট্টগ্রাম গোলরক্ষক নেহাল। পরের মিনিটে ওয়ালির ক্রস থেকে আফগান ডিফেন্ডার মাশি সাইগানির হেডও ফিস্ট করেছেন দুর্দান্তভাবে।

উদ্যমী আবাহনীকে থামিয়ে রাখা যাবে না, তা বোঝাই যাচ্ছিল। ৭ মিনিটেই জীবনের গোলে এগিয়ে গেছে তারা। পুরো গোল সাজিয়ে দিয়েছেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কেভিন বেলফোর্ট। বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে আড়াআড়ি ঢুকে রক্ষণচেরা পাস দিলেন কোরিয়ান মিডফিল্ডার মিনহোক কোকে। আর এতেই খুলে যায় গোলের রাস্তা। কোরিয়ান মিডফিল্ডার দেখেশুনে গোলমুখে বলটা পাস দিলে দূর থেকে দৌড়ে এসে স্লাইডিং করে জালে ঢুকিয়ে দিয়েছেন জীবন। লিগে এটি সপ্তম গোল আবাহনী স্ট্রাইকারের।

সেরা গোলদাতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নাইজেরিয়ান সতীর্থ সানডে। জীবনের গোলের পর সানডেই-বা চুপ থাকেন কীভাবে! ১০ মিনিট পরেই নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকারের হেডে ২-০। ডান প্রান্ত থেকে রুবেল মিয়ার ক্রসে আনমার্কড সানডে হেডে গোলটি করেছেন অনায়াসে। আবাহনীর ১০ মিনিটের এ ঝড়ের পর ৩৯ মিনিটে প্রাকৃতিক ঝড়। যার রেশে মাঠে পানি জমে যাওয়ায় খেলা বন্ধ থাকল ৪০ মিনিট। এরপর মাঠে আবাহনীকে আর তেমন খুঁজে পাওয়া গেল না। পানি জমে যাওয়া মাঠে বাকি সময় দাপট দেখাল চট্টগ্রামের দল। কিন্তু বলের দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোল করতে পারেননি জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর শিষ্যরা।

এই জয়ে ১১ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী লিমিটেড। এক ম্যাচ কম খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে চট্টগ্রাম আবাহনী।