এভাবেও ফিরে আসা যায়!

ডাবল সেঞ্চুরির পর শোয়েব মালিক l এএফপি
ডাবল সেঞ্চুরির পর শোয়েব মালিক l এএফপি

কোনো সন্দেহ নেই, টেস্ট দলে ফেরার স্বপ্নটা সব সময়ই দেখতেন শোয়েব মালিক। কিন্তু ফিরেই ডাবল সেঞ্চুরি করবেন, স্বপ্নটা কি এত দূর ডানা মেলত?
মালিক স্বপ্নটা দেখুন, না দেখুন—ডাবল সেঞ্চুরি দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হলো তাঁর। পাঁচ বছরে ৪২টি টেস্ট মিস করার পর পাকিস্তান দলে প্রত্যাবর্তন হলো ক্যারিয়ার-সেরা টেস্ট ইনিংসে! সেঞ্চুরি পেয়েছেন পঞ্চম উইকেটে ২৪৮ রানের জুটিতে মালিকের সঙ্গী আসাদ শফিকও। ফল, আবুধাবিতে ৫০০ পেরিয়েই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডও অবশ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে বড় কিছু করার। কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংলিশরা।
টেস্ট ক্রিকেট ফিরতে পাঁচ বছর লাগলেও ব্যাটিংয়ে নামতে মোটেও সময় লাগেনি মালিকের। পরশু প্রথম উইকেট পড়ার পর তৃতীয় ওভারেই উইকেটে এসেছিলেন। ফিরলেন কাল চা-বিরতির পরে। প্রথম দিনই টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা তুলে নেওয়া মালিক তাঁর আগেই করে ফেলেছেন ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ২৪৫ রান। মালিক এর আগে ২০০৬ সালে ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৪৮ রান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
আগের দিন মালিকের সঙ্গে যোগ দেওয়া শফিক পেয়েছেন অষ্টম সেঞ্চুরি। এই দুজনের ব্যাটিংয়ে জায়েদ স্টেডিয়ামের মরা পিচে মাথা কুটে মরেছেন ইংলিশ বোলাররা। ৩৪টি নিষ্ফলা ওভারে ১৬৩ রান বিলিয়ে লেগ স্পিনার আদিল রশিদ তো অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডেই নিজের নাম লেখালেন। পাকিস্তানিদের যা একটু ভুগিয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসাররাই। পাকিস্তানের ৮টি উইকেটই পেয়েছেন তাঁরা। ক্রিকইনফো, এএফপি।

স্কোরকার্ড
পাকিস্তান ১ম ইনিংস
(প্রথম দিন শেষে, ২৮৬/৪; মালিক ১২৪*, শফিক ১১*)
মোট (১৫১.১ ওভারে, ৮ উইকেটে ডি.) ৫২৩
উইকেট পতন: ৪-২৫১, ৫-৪৯৯, ৬-৫১৪, ৭-৫২১, ৮-৫২৩।
বোলিং: অ্যান্ডারসন ২২-৭-৪২-২, ব্রড ২১-৮-৪৪-১ (নো ১), স্টোকস ১৭.১-৩-৫৭-৪, উড ২২-৫-৫৮-১, রশিদ ৩৪-০-১৬৩-০, মঈন ৩০-২-১২১-০, রুট ৫-১-১৩-০।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস
কুক ব্যাটিং ৩৯ ৬২ ২ ০
মঈন ব্যাটিং ১৫ ৬৫ ০ ০
অতিরিক্ত (ও ১, নো ১) ২
মোট (২১ ওভারে, বিনা উইকেটে) ৫৬
বোলিং: রাহাত ৪-০-১২-০, ইমরান ৫-০-১৬-০, বাবর ৭-১-১৬-০, রিয়াজ ৪-১-১০-০ (নো ১, ও ১), শফিক ১-০-২-০।