গালি দিয়েই আট ম্যাচ নিষিদ্ধ?

আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন কস্তা। ছবি: এএফপি
আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন কস্তা। ছবি: এএফপি

বার্সেলোনার সঙ্গে লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ডুবিয়েছেন ডিয়েগো কস্তা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে দলকে মহাবিপদে ফেলেছেন এই স্ট্রাইকার। খুব সাধারণ এক ঘটনায় রেফারিকে গালি দিয়ে লাল কার্ড তো দেখেছেনই, সেই সঙ্গে পেয়েছেন আট ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা! স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের এ শাস্তিতে নিশ্চিত হয়েছে, এ মৌসুমে আর লিগে খেলা হচ্ছে না কস্তার। বাকি দুই প্রতিযোগিতা থেকে আগেই দল ছিটকে যাওয়ায় মৌসুমের ২ মাস আগেই ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন কস্তা।

কস্তার অপরাধ কী ছিল, সেটা বোঝার চেষ্টা অনেকেই করেছেন। শুধু গালি দিয়েই ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়াটা যে বাড়াবাড়ি বলেই ঠেকে। সেদিন বলের দখল নেওয়ার জন্য বার্সেলোনার আর্তুর মেলোর সঙ্গে লেগে গিয়েছিল কস্তার। রেফারি জিল মানজানোর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এর একপর্যায়ে হুট করে কস্তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বসেন রেফারি। সে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন অ্যাটলেটিকোর দুই উরুগুইয়ান সেন্টারব্যাক ডিয়েগো গডিন ও হোসে হিমেনেজও। কিন্তু শুধুই কি রেফারিকে কথা শোনানোর জন্যই লাল কার্ড দেখেছেন কস্তা?

রেফারির মাকে ইঙ্গিত করে প্রকাশ-অযোগ্য অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন কস্তা। ম্যাচ শেষের রিপোর্টে সেটা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন রেফারি জিল মানজানো। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কস্তাকে মাঠ ছেড়ে যেতে বলেছেন রেফারি। লাল কার্ড দেখার পরেও মাঠ ছাড়তে চাননি কস্তা। রেফারির দিকে তাকিয়ে উল্টোপাল্টা বলতে থাকেন। ফেডারেশনের তদন্ত অবশ্য জানিয়েছে বাড়তি কিছু। কস্তাকে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে গালি দেওয়ার জন্য। আর বাকি চার ম্যাচ শাস্তি জুটেছে রেফারির হাত ধরার জন্য। শুধু আট ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও কস্তাকে ৬ হাজার ১০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর ক্লাব অ্যাটলেটিকোকে দিতে হবে ২ হাজার ৮০০ ইউরো।

রেফারি মানজানো তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছেন, কস্তা শুধু গালিই দেননি। লাল কার্ড দেখার পরও মাঠে দাঁড়িয়ে তাঁর হাত ধরে দুই সতীর্থকে কার্ড দেখানো থেকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। তবে গডিন ও হিমেনেজের হলুদ কার্ড প্রাপ্তি আটকাতে পারেননি কস্তা। বরং সে কাজের জন্যই মিলেছে আরও চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।