বিশ্বকাপে কেমন হবে ভারতীয় দল?

কেমন হবে বিশ্বকাপের ভারতীয় দল? ফাইল ছবি
কেমন হবে বিশ্বকাপের ভারতীয় দল? ফাইল ছবি
আগামীকাল সোমবার ঘোষিত হবে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল। দলটা কেমন হবে, এ নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা।


লোকেশ রাহুল আর ঋষভ পন্ত খুব সম্ভবত রোববার রাতটা বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করেই কাটাবেন। কেন কাটাবেন, সেটি না বললেও হচ্ছে। সোমবারই যে ঘোষিত হচ্ছে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল। সেখানে রাহুল আর পন্ত থাকবেন কি না, সেটি নিয়ে থাকছে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা।


প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ অবশ্য বলেছেন, বিশ্বকাপে ভারতের ১৫ সদস্যের দলে খুব বেশি চমক থাকছে না। সাম্প্রতিক সময়ে যাঁরা জাতীয় দলে খেলেছেন, তাঁদের নিয়েই ঘোষিত হবে বিশ্বকাপ দল। তবে দুই-একটি জায়গা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে তাঁদের মধ্যে। এই জায়গাগুলোতে কারা থাকছেন, কারা থাকছেন না, আগ্রহ মূলত এ নিয়েই।

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ নিঃসন্দেহে বিশ্বসেরা। কিন্তু এই ব্যাটিং লাইনআপে চার নম্বর ব্যাটসম্যানটি কে হবে, এ নিয়ে আগ্রহ এন্তার। অনেকেরই নাম শোনা যাচ্ছে। যাঁদের নাম আসছে, তাঁরা প্রায় সবাই যোগ্য। যে কেউই সুযোগ করে নিতে পারেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। কিন্তু প্রতিযোগিতাটা তীব্র—আম্বাতি রায়ডু, ঋষভ পন্ত, বিজয় শংকর, অজিঙ্কা রাহানে, মনীশ পান্ডে, দিনেশ কার্তিক...। কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে, সেই অপেক্ষাটা আছে।

লোকেশ রাহুল সুযোগ পেতে পারেন তৃতীয় ওপেনার হিসেবে। তবে তাঁর একটা সুবিধা, চার নম্বরেও ব্যাটিং করতে পারেন। সে হিসেবে পন্ত, রায়ডু, রাহানে, পান্ডে, শংকর কিংবা কার্তিকদের ওপর বাড়তি স্নায়ুচাপ তৈরি করেছেন। এবারের আইপিএলে তাঁর চারটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস এই জায়গার জন্য রাহুলকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখছে। চার ইনিংসের দুটি আবার সত্তর পেরোনো, একটি সেঞ্চুরি।

পন্তের বাড়তি সুবিধা, ব্যাটিং আর উইকেটকিপিং দুটো তাঁর দারু। এ সুবিধা অবশ্য দিনেশ কার্তিকেরও আছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প হিসেবে ২১ বছর বয়সী পন্ত বিশ্বকাপ দলে ঢুকতে বড় একটা প্রতিযোগিতার মুখেই পড়বেন দিনেশের দিক দিয়ে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে পারার সুবিধা নিয়ে কার্তিক বিশ্বকাপ দলে একটা জায়গার খুব বড় দাবিদার। গত এক বছরে খোলস থেকে বেরিয়ে তাঁর মারকুটে চরিত্রে দেখা দেওয়াটাও ভারতীয় দলের বড় সম্পদে পরিণত করেছে। তবে দিনেশও ৩৩ পেরিয়েছেন। ভবিষ্যতের কথা ভাবলে পন্ত এখানে এগিয়ে থাকবেন।

ভারতের সাবেক টেস্ট উইকেটরক্ষক ও নির্বাচক কিরণ মোরে যেমন বলছেন, ‘নির্বাচক হলে আমি পন্তকেই দলে নিতাম। আমার কাছে পন্ত একজন ম্যাচ উইনার। সে টেস্ট ম্যাচে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে। এক হাতে পন্ত ভারতকে জেতাতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা সে বড় উপলক্ষের ক্রিকেটার।’

বিজয় শংকরের মিডিয়াম পেস নাকি রবীন্দ্র জাদেজার বাঁ হাতি স্পিন—ভারতীয় নির্বাচকেরা এটি নিয়েও দ্বিধার মধ্যে আছেন। জাদেজা নিঃসন্দেহে অভিজ্ঞ। বিজয় শংকর সম্প্রতি তাঁর মিডিয়াম পেসের পাশাপাশি ব্যাটিং সামর্থ্য দিয়ে সবার নজর কেড়েছেন। তাঁকে এগিয়ে রাখতে পারে ইংলিশ কন্ডিশন। তবে দুজনই বিশ্বকাপ দলের যোগ্য। এখন নির্বাচকদের চূড়ান্ত রায় কার পক্ষে যাবে—সেটি জানতে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গাটা অলরাউন্ডার হিসেবে চূড়ান্তই। বিজয় শংকর কিংবা রবীন্দ্র জাদেজা খেলবেন দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে।

৫ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দুবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিশ্বকাপ।