হারিয়ে যাননি নাসির

ম্যাচ শেষে নাসিরকে সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। ছবি: বিসিবি
ম্যাচ শেষে নাসিরকে সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। ছবি: বিসিবি
>ফতুল্লায় ১১২ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসির হোসেন। তাঁর সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই আজ প্রাইম ব্যাংককে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

প্রশ্নটা উঠেই গিয়েছিল, সময়ের স্রোতে বাংলাদেশের ক্রিকেটে কি আরেকটি নক্ষত্রের পতন হলো? অনেকে তো ধরেই নিয়েছিলেন, জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ ফিনিশার হয়ে ওঠার আগমনী বার্তা দেওয়া নাসির হোসেন হারিয়ে গেছেন। কিন্তু হারিয়ে যাননি নাসির। মুখে নয়, প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট ও বল হাতেই সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন নাসির।

গত বছর হাঁটুর চোটে পড়ে লম্বা সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। গত জানুয়ারিতে বিপিএলে ফেরাটা ভালো হয়নি, দল থেকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এই প্রিমিয়ার লিগেও শুরুর পারফরম্যান্স বলার মতো ছিল না। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে শেখ জামালের জার্সিতে জ্বলে উঠেছেন নাসির। আগের ম্যাচে ৪৫ রান ও ৪ উইকেট নিয়ে আবাহনীর বিপক্ষে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। ফতুল্লায় আজ সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেও ১১২ রানের অপরাজিত। তাঁর দল শেখ জামালও পেয়েছে জয়। তবে সেঞ্চুরির করেও ম্যাচসেরা হতে পারেননি নাসির। বোলিংয়ে তিন উইকেটের পর ব্যাটিংয়েও সবাইকে চমকে দিয়ে ৬৭ রান করে ইলিয়াস সানিই ম্যাচসেরা।

প্রথমে ব্যাট করে ৪৮.৩ ওভারে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় জামাল। ৭১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ইলিয়াস সানির সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রানের জুটি গড়েন নাসির। দলীয় ১৬৪ রানের সময় সানি (৬৭) ফিরে যান। বাকি কাজটুকু প্রায় একাই সেরেছেন নাসির। মাঝে নুরুল হাসান মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন তানভীর হায়দার।

১১২ রানের ইনিংসে ১১০ বল খেলেছেন নাসির। ঝকঝকে ইনিংসে ১২টি চার ও ৩টি ছয়। চোট থেকে ফেরার পর আজই প্রথম নাসিরকে পাওয়া গেল তাঁর চেনা ছন্দে। তবে এখনো ইনজুরির ভয় নিয়ে খেলতে হচ্ছে নাসিরকে, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য ম্যাচ ফিট হওয়া। রান নেওয়ার সময় দৌড়াতে গেলে এখনো ভয় করে। ফলে ফিট হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রিমিয়ার লিগে আরও চারটি ম্যাচ আছে। এখন আমার ভাবনা সে ম্যাচগুলো নিয়েই।’