কোহলিদের ওপর দিয়ে পান্ডিয়া-ঝড়

আইপিএলে ৮ ম্যাচে সপ্তম হারের স্বাদ পেল কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
জয় শেষে হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: এএফপি
জয় শেষে হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: এএফপি

০, ৬, ৪, ৪, ৬, ১—১৯তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের টাইমলাইন। আর এই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং–ঝড়েই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২২। কিন্তু পান্ডিয়া ২০তম ওভারে ম্যাচটা নিলেনই না। পাওয়ান নেগির ১৯তম ওভারেই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ঝোড়ো ২১ রান। আর ১ রান এসেছে অতিরিক্ত। ব্যস, এক ওভার বাকি থাকতেই কঠিন ম্যাচটা আয়েশ করে জিতে নিল মুম্বাই। এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রোহিত শর্মার দল। আর ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে কোহলির বেঙ্গালুরু।

১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই কোহলিদের বোলিংয়ের ওপর মারমুখী ছিলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত ও কুইন্টন ডি কক। ৭ ওভারেই ৭০ রান তোলে ওপেনিং জুটি। কিন্তু অষ্টম ওভারে মঈন আলীর বোলিং–তোপে পড়ে ২ রানের মধ্যেই (৭০ থেকে ৭১) ফিরে যান দুই ওপেনার। ১৯ বল খেলে ২৮ রান রোহিতের ও ডি ককের ৪০ রান এসেছে ২৬ বল থেকে। তাঁদের বিদায়ের ঝড় সামলেছেন সুরু কুমার যাদব ও ঈশান কৃষাণ।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাঁদের ব্যাট থেকে ১৭ বলে আসে ৩৩ রান। আবার মুম্বাইয়ের দিকে হেলে যায় ম্যাচ। দলীয় ১০৪ রানে কৃষাণ (২১) ফিরে গেলে কুনাল পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন যাদব। যদিও কুনালের ব্যাটিং–ব্যর্থতায় রানের গতি কমে আসে। আউট হওয়ার আগে ২১ বল খেলে মাত্র ১১ রান করেছেন তিনি। পরে ক্রিজে এসে বড় ভাইয়ের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিয়েছেন ছোট ভাই। ১৬ বল খেলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এবি ডি ভিলিয়ার্স–ঝড়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওয়াংখেড়েতে আজ রীতিমতো ঝড় তুলেছেন ভিলিয়ার্স। ৫১ বল খেলে ৭১ রান করতে চারটি ৬ ও ছয়টি ৪ মেরেছেন। ইংল্যান্ডের মঈন আলীও কম যাননি। ৩২ বলে ৫০ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা বিরাট কোহলির দিনটি খারাপ গিয়েছে। মাত্র ৮ রান এসেছে বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট থেকে। অন্য ওপেনার পার্থিব প্যাটেলের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মুম্বাইয়ের লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।