তাসকিনের জন্য খারাপ লাগছে মোস্তাফিজের

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো
>আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার বছর খেলে ফেলেছেন। তবে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন এই প্রথম। প্রথম বিশ্বকাপ খেলার রোমাঞ্চের চেয়ে নিজের দায়িত্ব বড় করে দেখছেন বাঁহাতি পেসার

তাসকিন আহমেদের কান্না দেখে মোস্তাফিজুর রহমানের মনে প্রথম যে প্রশ্নটা জেগেছে, তাসকিনের জায়গায় থাকলে তিনি কী করতেন। মানসিকভাবে মোস্তাফিজ অবশ্য ভীষণ শক্ত। আবেগতাড়িত তিনিও হন। তবে সেটি বুঝতে দেন না খুব একটা। কিন্তু কাল তাসকিনের কান্না স্পর্শ করেছে তাঁকে, অনুভব করছেন সতীর্থের মনের ভেতর কী তোলপাড়টা হচ্ছে।

কথায় কথায় কাল মোস্তাফিজ বলছিলেন, চার মাস আগেও যদি তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক হতো, হয়তো ২০১৫ বিশ্বকাপটা খেলা হতো তাঁর। বাঁহাতি পেসারের অভিষেক, ২০১৫ বিশ্বকাপের ঠিক পরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। অবশ্য পরক্ষণেই আবার বলেন, ‘না, আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্য করেন। গত বিশ্বকাপে আমাদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ছিল তাসকিন, সে এবার বিশ্বকাপ দলে নেই। আবার গত বিশ্বকাপে আমার কোনো খোঁজ ছিল না, সেই আমি খেলতে যাচ্ছি এবারের বিশ্বকাপ। নিয়তির খেলা বোঝা কঠিন!’ তবে তাসকিনের জন্য বেশ খারাপই লাগছে মোস্তাফিজের। আজ সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘অবশ্যই ওর জন্য...খারাপ তো সবারই লাগছে, শুধু আমার নয়। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই, কী বলব?’

ম্যাচ খেলতে ফিট নন বলে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়নি তাসকিনকে। চোটে পড়ার প্রবণতা আছে মোস্তাফিজেরও। আর এবার বিশ্বকাপের যে সূচি, টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। মোস্তাফিজকে স্বস্তি দিচ্ছে, অনেক ম্যাচ খেলতে হবে, তবে টানা নয়, ‘বিরতি দিয়ে দিয়ে খেলা। টানা খেলা নেই। কিছু হওয়ার কথা না। কিন্তু চোট তো বলে-কয়ে আসে না। যেকোনোভাবে চোটে পড়তে হতে পারে। সবার সুস্থ থাকাটাই বড় কথা। গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে চোটে যেন না পড়ি, সতর্ক থাকতেই হবে।’

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি অনভিজ্ঞ নন। ৪৩ ওয়ানডে খেলে ফেলা মোস্তাফিজ ঠিকই জানেন তাঁর দায়িত্বটা কী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই যেভাবে আলোড়ন তুলেছিলেন, সেটি হয়তো প্রতি ম্যাচে হবে না। তবে তিনি আশা দিচ্ছেন, দুর্দান্ত কিছু হবে, ‘সব সময়ই দায়িত্ব বেশি ছিল। সবাই আমার কাছে আশা করে বলেই দায়িত্ব বেশি। সবাই যেহেতু আশা করে থাকে, নিজের সেরাটা কীভাবে দেওয়া যায়, সেটাই চেষ্টা করি।’

২০১৯ বিশ্বকাপে লক্ষ্য থাকবে কী, এখনই সেটি বলতে চান না মোস্তাফিজ। তিনি এগোতে চান ধাপে ধাপে। বিশ্বকাপের আগে যেহেতু আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে হবে, আপাতত তাঁর মনোযোগ এ সিরিজেই, ‘বিশ্বকাপের আগে চারটা ম্যাচে আছে আয়ারল্যান্ডে। ওটাই আগে ভাবা উচিত। ওখানে ভালো করতে পারলে বিশ্বকাপে ভালো করার আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে।’