মেসিদের সঙ্গে লড়তে মুখিয়ে লিভারপুল

লিভারপুলের জয়ে গোল পেয়েছেন সালাহও। ছবি: এএফপি
লিভারপুলের জয়ে গোল পেয়েছেন সালাহও। ছবি: এএফপি
>পোর্তোকে ৪-১ গোল হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেছে লিভারপুল। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে তারা জিতেছিল ২-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ গোল ব্যবধানে পোর্তোকে পেছনে ফেলল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

পোর্তোর সঙ্গে লড়াইয়ে আগেই এগিয়ে ছিল লিভারপুল। নিজেদের মাঠে আগের লেগে ২-০ গোলে জেতার পর ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের লক্ষ্য ছিল এস্তাদিও দো দ্রাগোতে অন্তত নিজেদের সেরা খেলাটা খেলা। গতকাল সেই লক্ষ্য দারুণভাবে পূরণ করেই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল তারা। পোর্তোকে লিভারপুল হারিয়েছে ৪-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে নিশ্চিত হয়েছে লিভারপুলের শেষ চার।


লিভারপুল কোচ দারুণ খুশি টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমি নিশ্চিত করে। গত মৌসুমে ফাইনালে উঠেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া হয়নি। এবার সেই দুঃখ ঘোচাতে লিভারপুলের সামনে বাধা রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। ৩০ এপ্রিলের সে ম্যাচে মাঠে নামতে লিভারপুল কোচ ক্লপ যে কতটা মুখিয়ে, সেটি জানিয়ে দিয়েছেন পোর্তোর বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগ জিতেই, ‘আমি সে ম্যাচটার দিকে তাকিয়ে আছি। বার্সেলোনা আর লিভারপুলের মধ্যে সুন্দর একটা ম্যাচ সব সময়ই ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুখবর। টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করাটা দারুণ এক সাফল্য। আমি লিভারপুলের খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ গর্বিত।’


পোর্তোর বিপক্ষে অবশ্য শুরুর দিকে পরীক্ষাই দিতে হয়েছে লিভারপুল রক্ষণকে। আক্রমণের প্রবল স্রোত ঠেকাতে হয়েছে। তবে ক্লপ সেটি নিয়ে সন্তুষ্ট, ‘প্রথম ৩০ মিনিটে আমাদের রক্ষণকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পোর্তোর প্রচুর আক্রমণ ঠেকিয়ে যেতে হয়েছে। এটা সমস্যা নয়।’


কোচ ‘সমস্যা নয়’ বলতেই পারেন, কারণ এর পরের সময় যে পুরোপুরিই লিভারপুলের। ২৬ মিনিটে সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহ গোল করেন। পোর্তো অবশ্য ৬৯ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিল। গোলদাতা ছিলেন এডার মিলিতাও। ৭৭ মিনিটে ফিরমিনো গোল করে লিভারপুলের শেষ চার প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন। ৮৪ মিনিটে ভার্জিল ফন ডাইকের গোলে উৎসবের রংটা আরও চড়িয়েছে লিভারপুল।


সেমিতে বার্সার সঙ্গে লিভারপুলের লড়াইটা ২০০৬-০৭ সালের পর এই প্রথম। প্রায় এক যুগ আগের সেই ম্যাচ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর। সেই ম্যাচে অ্যাওয়ে গোলে বার্সাকে পেছনে ফেলেছিল লিভারপুল।