আগে দেখা যায়নি এমন গোলঝড়

গতকাল গোলের নেশায় মত্ত ছিল সিটি-স্পার্স। ছবি : এএফপি
গতকাল গোলের নেশায় মত্ত ছিল সিটি-স্পার্স। ছবি : এএফপি
>গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটি আর টটেনহামের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে গোল হয়েছে ৭টা। এর মধ্যে ৫টি গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথম ২১ মিনিটে! চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এত দ্রুততম সময়ে ৫ গোল কখনোই দেখা যায়নি।

কী ছিল না এই ম্যাচে! আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণ, গোলের ফুলঝুরি, ‘ভার’–এর বাড়াবাড়ি—ফুটবল যেন তার সম্পূর্ণ সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে। যদিও শেষ হাসি হাসতে পারেনি সিটি। তবে ম্যাচটি প্রাণভরে উপভোগ করেছেন ফুটবল-রোমান্টিকরা। গোলের বন্যা দেখে অনেকেই বলছেন, তাঁদের রাত জাগা সার্থক। বারুদে ম্যাচের প্রতিশ্রুতি ছিলই। কিন্তু প্রথম ২১ মিনিটেই যে ৫ গোল হয়ে যাবে, সেটা কে ভেবেছিল! কাল যাঁরা রাত জেগেছেন, দারুণ এক ইতিহাসেরই সাক্ষী তাঁরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে ৫ গোল যে আগে কখনো দেখেনি কেউই।

শুরু থেকেই চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক খেলছে দুই দল। ১১ মিনিটের মধ্যে দুটি করে চারটি গোল করে ফেলে সিটি ও টটেনহাম। চার মিনিটের মাথায় রহিম স্টার্লিং দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের ফল হেলে পড়ে সিটির দিকে। ১০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড হিউং মিন সন টটেনহামকে এগিয়ে দেন। সনের দ্বিতীয় গোলের এক মিনিট পর গোল করে আবারও সিটিকে আশাবাদী করে তোলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার বার্নার্ডো সিলভা। ম্যাচের ২১ মিনিটে আরেকটি গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন স্টার্লিং। নিঃসন্দেহে দীর্ঘদিন ধরে গল্প করার এক স্মৃতি নিজেদের করে নিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।

এর আগের রেকর্ডটা ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের। ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পোল্যান্ডের ক্লাব লেজিয়া ওয়ারশকে ৮-৪ গোলে হারিয়েছিল তারা। সে ম্যাচে ৫ গোল করতে দুই দল সময় নিয়েছিল ২৪ মিনিট। ডর্টমুন্ড করেছিল ৩টি, বাকি ২টি লেজিয়ার। গতকাল সে ঝড়কেও আড়াল করে দিয়েছে সিটি-টটেনহামের ঝড়। পরে যদিও দুই দল মিলে ১২ গোল করতে পারেনি, কিন্তু তাতে কী? উত্তেজনার তো কমতি ছিল না কোনো!