রেফারিও এখন খেলোয়াড়দের আঘাত করেন!

রেফারির কাছে জবাব চাইছেন মোরাতা। ছবি: টুইটার
রেফারির কাছে জবাব চাইছেন মোরাতা। ছবি: টুইটার

জিনেদিন জিদানের ছোঁয়ায় পুনর্জীবিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে টপকে লিগে অন্তত দ্বিতীয় হতে চায় তারা। তবে অ্যাটলেটিকো কোনো সুযোগ দিচ্ছে না রিয়ালকে। গতকাল রাতে এইবারকে একমাত্র গোলে হারিয়ে আবারও নাগালের বাইরে চলে গেছে দলটি। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে সব আলোচনা কিন্তু হচ্ছে সাবেক এক রিয়াল খেলোয়াড়কে নিয়েই। ম্যাচের শেষ দিকে মোরাতার ঘাড়ের পেছনে আঘাত করেছিলেন রেফারি আলবেরোলা রোহাস। এ নিয়ে চলছে ঝড়।

৮৮ মিনিটের ঘটনা। অ্যাটলেটিকো ডি বক্সের একটু বাইরে মোরাতার ঘাড়ের পেছনে দুই আঙুল দিয়ে হঠাৎ মৃদু আঘাত করেন রেফারি রোহাস। রেফারির পক্ষ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বলেই হয়তো মনে হয়েছিল। কিন্তু মোরাতার সেটা মনে হয়নি। মাঠেই এ নিয়ে ক্ষুব্ধ আচরণ দেখা গেছে। ফুটবলে যে খেলোয়াড় ও রেফারির মধ্যে এ ধরনের কিছু একদমই নিষিদ্ধ। কোনো খেলোয়াড় এমন আচরণ করলে অন্তত চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হতো। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও মোরাতা তাই রেফারির পিছু নিয়ে জিজ্ঞেস করতে চাইছিলেন কেন এমন আচরণ করা হলো তাঁর সঙ্গে। সতীর্থরা গিয়ে থামিয়েছেন তাঁকে।

মোরাতাকে থামানো হলেও সতীর্থরা রেফারির দোষই দেখছেন। কোকে বলেছেন, ‘আমি কখনো দেখিনি কোনো অফিশিয়াল খেলোয়াড়কে আঘাত করছেন। আমি জানি না এখন কী হবে। খেলোয়াড়েরা মাঝেমধ্যে রেফারির সঙ্গে ভুল আচরণ করে, এবার রেফারিও ভুল আচরণ করল। দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ এবং ভুল হলে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়। আমি জানি না শাস্তি দেওয়া হবে কি হবে না। তবে এটা অবশ্যই দেখা উচিত।’ কদিন আগে রেফারিকে গালি দিয়েও রেফারির গায়ে হাত রাখার দায়ে আট ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডিয়েগো কস্তা। এ কারণেই হয়তো দলটি আরও বেশি ক্ষুব্ধ।

কোচ ডিয়েগো সিমিওনেও এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ। নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ঘটনা টেনে এনে বলেছেন রেফারির শাস্তি হওয়া উচিত, ‘মোরাতা খুবই রাগান্বিত ছিল এ ঘটনায়। আমি একবার এক অফিশিয়ালের সঙ্গে এমন করায় চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলাম।’

রেফারি রোহাস অবশ্য এ ঘটনায় এখনো মুখ খোলেননি। মোরাতাকে আঘাত করার কারণটাও তাই আপাতত জানা যাচ্ছে না।