বিশ্বকাপের আগেই ফর্মে ফিরছেন সৌম্য

আজ ঝোড়ো সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌম্য।
আজ ঝোড়ো সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌম্য।

সেঞ্চুরি যে করেছেন বোঝার উপায় ছিল না। এর আগের ৯৯টা রান নেওয়ার পর যে অভিব্যক্তি, ঠিক সেভাবেই ক্রিজ পার হলেন আর পরের বলটা কীভাবে সামলালেন, সে ভাবনায় ঢুকে গেলেন। চাইলেই লাফ দিয়ে, ব্যাট উঁচিয়ে কিংবা বুকে থাবা মেরে বলতে পারতেন, ‘এই নিন জবাব’। কিন্তু সৌম্যের ওসব দরকার হয়নি। ৭১ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যাটই যখন সব উত্তর দিচ্ছে, শরীরী ভাষা দিয়ে বলার কী দরকার!

রান পাচ্ছিলেন না বেশ কিছুদিন ধরেই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আগে নিউজিল্যান্ডেও সময়টা ভালো যায়নি। বিশ্বকাপের দলে তাঁকে দেখে অনেকেই কেন যেন তাই প্রশ্ন তুলছিলেন। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের উইকেটে সৌম্যের ব্যাটিং দলের জন্য জরুরি হবে, নির্বাচকদের এমন যুক্তিও মানতে চান না সমালোচকেরা। আজ সৌম্য সব জবাবই দিলেন। প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন। বড় ম্যাচেই যে জ্বলে উঠতে হয়।

রূপগঞ্জ ও আবাহনীর মধ্যেই এবার শিরোপা–লড়াই চলছে। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা রূপগঞ্জ আজ জিতলেই অনেক এগিয়ে যাবে দৌড়ে। বিকেএসপির এই ম্যাচে সৌম্য তাই দলকে শুরুতেই এগিয়ে দিলেন। শুরু থেকেই বল সীমানাছাড়া হতে লাগল। অষ্টম ওভারেই চলে এল ৫০। পরের পঞ্চাশ এল আরও দ্রুতগতিতে। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই ১০০ পেরিয়েছে আবাহনী। সৌম্যের ফিফটি এসেছে এর আগেই। ৮টি চার ও ১ ছক্কায় মাত্র ৩৯ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন সৌম্য।

পাওয়ার প্লের পরও সৌমের রুদ্রমূর্তি ছিল। বলা ভালো আরও বেড়েছে। অন্যপ্রান্তে জহুরুলও খেলেছেন আগ্রাসী ভঙ্গিতে। ৫৯ বলে জহুরুলের ফিফটি আর সৌমের আক্রমণে ২২তম ওভারেই ১৫০ পেয়েছে আবাহনী। দ্বিতীয় ফিফটিতে সৌমের বাউন্ডারি সংখ্যা কমে এসেছে। একটি ছক্কার সঙ্গে ছয়টি চার। কিন্তু রান তোলার গতি আরও বেড়েছে। শেষ মুহূর্তে সেঞ্চুরির আগে একটু থেমে না গেলে পরের পঞ্চাশ ছুঁতে ৩২ বলও দরকার হতো না। তবু ৭১ বলে সেঞ্চুরি দেখতেও তো মন্দ নয়।

সেঞ্চুরির একটু পর সৌম্য ফিরে গেছেন। ৭৯ বলে ১০৬ রানের ইনিংসে সেঞ্চুরির পর আরও একটি চার মেরেছেন। দলীয় ১৬৯ রানে সৌম্য ফিরলেও আবাহনীর রান তোলার গতি কিন্তু কমেনি। জহুরুল (৭৩*) ও নাজমুল (২৪*) দলকে বড় স্কোরের দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন। ৩০ ওভার শেষে আবাহনীর স্কোর ১ উইকেটে ২১০ রান।