বঙ্গমাতার নামে টুর্নামেন্টে সবার মুখেই বাংলাদেশ

বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে বাকি সব দলের কাছে ফেবারিট বাংলাদেশ। ছবি: শামসুল হক
বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে বাকি সব দলের কাছে ফেবারিট বাংলাদেশ। ছবি: শামসুল হক
>বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের ম্যাচ দিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

আজই মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কিরগিজস্তান, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, লাওস ও স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়ে আয়োজিত এই অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে ফেবারিট কারা? গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মুখে কেবলই বাংলাদেশের কথা। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ জয়ে বাংলাদেশই যে সবচেয়ে এগিয়ে, সেটি অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচদের কথাতেই স্পষ্ট। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমি এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাবধানী। তাঁর মতে, ‘সবাই বাংলাদেশকে ফেবারিট ভাবছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। কিন্তু পুরো ব্যাপারটিই আমাদের খেলে প্রমাণ করতে হবে।’


সংবাদ সম্মেলনটিতে আসলে যতটা না ফুটবলকেন্দ্রিক আলোচনা ছিল, তার চেয়েও অনেক বেশি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওসের কোচ ও অধিনায়কেরা ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানালেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে। টুর্নামেন্টে ফেবারিট কারা, এই প্রশ্নে সবাই বললেন বাংলাদেশের কথা। এর মধ্যে তাজিকিস্তান কোচই শুধু স্বাগতিকদের পরে মঙ্গোলিয়া ও কিরগিজস্তানের নামটি উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা কিরগিজস্তানের কোচ নাতালিয়া গায়ভোরোনসকিয়া একবাক্যে বলেছেন, টুর্নামেন্টের শিরোপার দাবিদার বাংলাদেশ। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আমিরাতের কোচ হুরাইরা আল তাহেরি অবশ্য ফেবারিট প্রশ্নে উত্তরটা দিয়েছেন একটু অন্যভাবে, ‘খেলা শুরু হলেই বোঝা যাবে কারা চ্যাম্পিয়ন।’


সাফ, এএফসিসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় কয়েক বছর ধরে নিয়মিত দাপটের সঙ্গে খেলছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আর বঙ্গমাতায় বিদেশের যে দলগুলো অংশগ্রহণ করছে, বাংলাদেশ তাতে অনায়াসেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে বলে মনে করছেন অনেকে। অতীত পরিসংখ্যানও তা–ই বলছে। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আরব আমিরাত। গত বছর সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে আরব আমিরাতকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এ ছাড়া জাতীয় দল বিচারে লাওস ও মঙ্গোলিয়া ভালো হলেও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ভালোই ব্যবধান। কারণ, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি জাতীয় দলই।


তবু শিরোপার দাবিদার হিসেবে লাওসকে রাখা যায় বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশ ছাড়া বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে আসা দলগুলোর মধ্যে শুধু লাওসেরই আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা। এ হিসাবে দেখলে লাওস শক্তিশালী। তবে ঘরের মাঠের সুবিধা ও বড় মঞ্চে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে মৌসুমিরা। বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনেরও তা অজানা নয়। তবে বাংলাদেশ কোচ সরাসরি চ্যাম্পিয়নের কথা না বলে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ফাইনাল পর্যন্ত, ‘টুর্নামেন্টের প্রতিটি দলই শক্তিশালী। কাউকে ছোট করার সুযোগ নেই। আমাদের খেলোয়াড়েরা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত আছে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলতে চাই। প্রথমত, গ্রুপের দুটি ম্যাচ জিততে চাই। এরপর সেমিফাইনালে জিতে খেলতে চাই ফাইনাল।’