'এক্স ফ্যাক্টর' মোস্তাফিজকে নিয়ে ওয়ালশের ভাবনা যেখানে

আজ ব্যাটিং করেই সময় কাটল মোস্তাফিজের। ছবি: প্রথম আলো
আজ ব্যাটিং করেই সময় কাটল মোস্তাফিজের। ছবি: প্রথম আলো
মোস্তাফিজুর রহমান পুরো ফিট থাকলে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণে তাঁর নামটাই আগে লিখতে হয়। বিশ্বকাপেও তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এখন শতভাগ মোস্তাফিজকে পেলেই হয়


প্রস্তুতি ক্যাম্পের প্রথম দিনে মোস্তাফিজুর রহমান নামলেন ডিএসসি ব্র্যান্ডের দুটি ব্যাট হাতে। বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের ব্যাট দিয়ে খেলেন মুশফিকুর রহিমও। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মতো মোস্তাফিজের ব্যাটেও যে স্পনসর, সেটি পেসারদের ক্ষেত্রে দেখা যায় কমই। নিয়মিত অসাধারণ ব্যাটিং করেন, সেটিও নয়। তাঁর যে তারকাখ্যাতি, ব্যাটে নামী ব্র্যান্ড তাঁকে স্পনসর করে এ কারণেই। আর এ তারকাখ্যাতি তিনি পেয়েছেন দুর্দান্ত বোলিং দিয়েই।

আজ অবশ্য বোলার মোস্তাফিজকে দেখা গেল না। গোড়ালির চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। ওয়ার্মআপ আর ব্যাটিং অনুশীলন দিয়েই কেটেছে প্রস্তুতি ক্যাম্পের প্রথম দিনটা। বোলিং শুরু করতে পারবেন ২৬ এপ্রিল থেকে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনি হতে পারেন বাংলাদেশ দলের এক্স-ফ্যাক্টর, তাঁকে নিয়ে একটু বেশি সতর্ক টিম ম্যানেজমেন্ট। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ বললেন, ‘পুরোপুরি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছে মোস্তাফিজ। যদি সে ফিট থেকে খেলে যায়, আমরা জানি, আমাদের একজন এক্স-ফ্যাক্টর আছে, যে দলকে জিতিয়ে দিতে পারে। প্রতি ম্যাচেই সে এটা করতে পারবে না। তবে জানি দুর্দান্ত কিছু করার সামর্থ্য তার আছে। আমাদের এখন একটাই চিন্তা, ওকে পুরোপুরি ফিট করে তোলা।’

প্রস্তুতি ম্যাচ ও ফাইনাল ধরলে আয়ারল্যান্ডেই অন্তত ছয়টি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপে যেন চনমনে মোস্তাফিজকে পাওয়া যায়, আয়ারল্যান্ড সফরে তাই তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে খেলানোর পক্ষে ওয়ালশ, ‘যদি ফিট থাকে, বিশ্বকাপে সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখত পারবে। তবে মনে করি না একজনের ওপর নির্ভর করতে হবে। সাকিব (আল হাসান), ম্যাশ (মাশরাফি বিন মুর্তজা) আর রুবেল ধারাবাহিক। বড় চোটে পড়ার পর থেকে ফিজ পুরোপুরি ছন্দে নেই। ছোটখাটো চোট তো আছেই। পুরোপুরি ফিট ফিজ আপনাকে জিতিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সেটির জন্য তাকে তো আগে ফিট রাখতে হবে। এখনো সময় আছে। আশা করি ওকে বাড়তি চাপ দেওয়া হবে না। আমার চিন্তাটা এখানেই, যদি আয়ারল্যান্ডে বেশি খেলানো হয়, তবে বিশ্বকাপে চনমনে মোস্তাফিজকে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।’

আয়ারল্যান্ড সফরের সূচি আর দুটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ—বিশ্বকাপের আগে অন্তত আটটি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। খেলোয়াড়দের সতেজ-সজীব রাখতে টিম ম্যানেজমেন্ট যে আয়ারল্যান্ডে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতে পারে, ওয়ালশের কথায় সেটির ইঙ্গিত থাকছে।