ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে বাঁচল কোহলিদের আশা

>
বিরাট কোহলির ছবিটাই বলে দিচ্ছে কত স্বস্তির এক জয় পেয়েছে তাঁর দল। ছবি: এএফপি
বিরাট কোহলির ছবিটাই বলে দিচ্ছে কত স্বস্তির এক জয় পেয়েছে তাঁর দল। ছবি: এএফপি

পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় প্লে অফের আশা বেঁচে রইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে কী প্লে-অফে নিয়ে যেতে পারবেন বিরাট কোহলি? কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কোটি টাকার ‘বাঁচা-মরার’ প্রশ্নটা উড়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। বেঙ্গালুরুতে শেষ পর্যন্ত ১৭ রানের জয় পাওয়ায় প্লে অফের আশা বেঁচে রয়েছে কোহলিদের। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক কোহলির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর ৪৪ বলে অপরাজিত ৮২ রানের কল্যাণেই ৪ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানেই থেমে যায় পাঞ্জাব।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শেষ দুই ওভারের রোমাঞ্চেই বেঙ্গালুরুর রানের অঙ্কটা দুইশ পেরিয়েছে। ১৮ ওভার শেষেও তাদের স্কোর বোর্ডে পুঁজি ছিল ৪ উইকেটে মাত্র ১৫৪। অবিশ্বাস্যভাবে ২০ ওভার শেষে সেই অঙ্কটা ২০২। ম্যাচটি না দেখে থাকলেও বোঝার কথা বোলারদের ওপর শেষ দুই ওভারে কী তাণ্ডবটাই না চালিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। মোহাম্মদ শামি ও ভিলোয়েনকের শেষ ২ ওভারে ৪৮ রান নিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স ও মার্কাস স্টইনিস। শেষ ১২ বল থেকে এসেছে ৬টি ছক্কা ও ২টি চার। তাদের ১২১ রানের জুটির পথে ১৮ ওভার শেষে স্টইনিসের রান ছিল ২৯ বলে ২৬ ও ভিলিয়ার্সের ৩৭ বলে ৫৭। ইনিংস শেষে স্টইনিসের নামের পাশে ৩৪ বলে ৪৬ আর ভিলিয়ার্সের নামের সঙ্গে ৪৪ বলে অপরাজিত ৮২ রান।

এর আগে শুরুতে মাত্র ১৩ রান করে ফেরেন অধিনায়ক কোহলি। পার্থিব প্যাটেল ২৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন। মঈন আলির ৪ ও ৩ রান করে ফিরে যান অক্ষদীপ নাথ। বাকি পথটা কীভাবে পাড়ি দিয়েছেন, তা তো ভিলিয়ার্স ও স্টইনিসের ইনিংসেই লেখা। নবম ওভারে দুজন দায়িত্ব তুলে নিয়ে ১২১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন তারা।

বড় রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরুতে যার তাণ্ডব দেখার আশা করেছিল পাঞ্জাব সমর্থকেরা, সেই ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে কেবল শুরু হয়েছিল ঝড়। কিন্তু ১০ বল খেলে ২৩ রান করেই ফিরে যেতে হয় তাঁকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আগারওয়ালকে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ১০১ রানে আগারওয়াল ( ৩৫ ) ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় প্রীতি জিনতার দল। স্কোর বোর্ডে আর ৪ রান যোগ হতেই ফিরে যান রাহুল। অবশ্য ফিরে যাওয়ার আগে ২৭ বল খেলে ৪২ রান করেছেন এই ওপেনার।

এর পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ডেভিড মিলার ও নিকোলাস পুরানের ৬৮ রানের জুটিটাই পাঞ্জাবের সান্ত্বনা। দলীয় ১৭৩ রানে মিলার ও ১৭৬ রানে পুরান ফিরে গেলে বাকি ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মধ্যে থেকে কেবল শেষ করেছেন ২০ ওভার। ২৫ বলে ২৪ রান করেছেন মিলার ও ২৮ বলে ৪৬ রান পুরানের।