কী অদ্ভুত শাস্তি!

লিখে যাচ্ছেন শার্পেন। ছবি: টুইটার
লিখে যাচ্ছেন শার্পেন। ছবি: টুইটার

ছোটবেলার বর্ণমালা শেখার দিনগুলো মনে আছে? ক খ গ ঘ টানা লিখে যেতে হতো। অনেকবার লেখার পর আত্মস্থ হয়ে যেত মনের ভেতর। সারা জীবনে যেন আর ভুল না হয়। কেমন হবে যদি বর্ণমালা লেখার মতো কোনো কিছু হাজারবার লিখতে দেওয়া হয়? তা–ও আবার ছোটবেলার কোনো অপরাধের জন্য? আয়াক্সের নতুন গোলরক্ষকের কপালে এমন শাস্তিই জুটেছে। আর সেই কড়া শিক্ষকের জায়গা পূরণ করেছেন আয়াক্সের দুই সাবেক তারকা ফন ডার স্যার ও মার্ক ওভারমার্শ।

আগামী মৌসুমের জন্য এর মধ্যেই দল গুছানো শুরু করেছে আয়াক্স। সে লক্ষ্যে ১৯ বছর বয়সী জেল শার্পেনকে দলে ভিড়িয়েছে ডাচ ক্লাবটি। নতুন মৌসুমের আগেই তাঁকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আয়াক্স। এফসি এমেন থেকে আসা শার্পেন কখনোই আয়াক্সের সমর্থক ছিলেন না। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ফেইনুর্দের পাঁড় ভক্ত। ২০১১ সালে ১১ বছর বয়সে শার্পেন আবেগের বশেই টুইট করেছিলেন আয়াক্সের বিপক্ষে— ‘আয়াক্স ভাগ্যবান ক্লাব’।

আয়াক্সে সই করার সময় শার্পেনের সামনে চলে এল সেই টুইট। টুইটারে এক পেজ তা তুলে এনেছেন। তবে ডাচ এই প্রতিভাকে হাতছাড়া করেনি আয়াক্স। বরং বুদ্ধি করে তাঁকে কেনার পরই শাস্তি দিয়েছে। শাস্তি দেওয়ার পদ্ধতিও বেশ অদ্ভুত। খেলোয়াড়ের শাস্তি হয় সাধারণত জরিমানা কিংবা মাঠের বাইরে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা। আয়াক্স সে পথে হাঁটেনি। শার্পেনকে দলটি বসিয়ে দিয়েছে পড়ার টেবিলে।

এক ঢিলে দুই পাখি মারতে এর চেয়ে ভালো পদ্ধতি কিছুই ছিল না। একসঙ্গে শাস্তি এবং সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আয়াক্স। খালি ক্লাসরুমে শুধু শার্পেনকে বসিয়ে দেওয়া হলো খাতা হাতে। শিক্ষক হিসেবে থাকলেন আয়াক্সের দুই সাবেক ফন ডার স্যার ও ওভারমার্শ। খাতায় শার্পেনকে একটি লাইনই লিখতে হবে হাজারবার। লাইনটি হলো, ‘আয়াক্স নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে সুন্দর ক্লাব।’ লেখা শেষ হলেই মিলবে মুক্তি। আয়াক্সের টুইটার পেজে ছাড়া এই ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ গোমড়া করে লিখে যাচ্ছেন শার্পনেল। কী অদ্ভুত শাস্তি!