আয়াক্সের তরুণদের 'দাদাগিরি' চলছেই

>চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে প্রথম পর্বের ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব টটেনহামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসের আয়াক্স।

রূপকথা, ইতিহাস, অবিশ্বাস্য—চ্যাম্পিয়নস লিগে আয়াক্সের তরুণদের জন্য সব শব্দের ব্যবহারই ইতিমধ্যে শেষ। রোমাঞ্চের ভেলায় পাড়ি দিয়ে এক জায়গায় তো থামতেই হয় সবাইকে। কিন্তু আয়াক্সের যে থামার কোনো নামগন্ধই নেই। বরং ডি লেট-ডুসান তাদিচদের ‘দাদাগিরি’ চলছেই।

প্রথমে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে স্পেন জয় করল, তখনো সবার চোখে অবিশ্বাস। দ্বিতীয়ত, রোনালদোর জুভেন্টাসকে বিদায় করে দিয়ে ২৩ বছর পর সেমিফাইনালে পা রাখা। অনেকেই বলল, আরে ‘ছোকরারা’ কী শুরু করল! ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এবার ডাচ্‌ ক্লাবটি ধরেছে ইংলিশ টটেনহামকে। আজ টটেনহাম হটসপার স্টেডিয়ামেই টটেনহামকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ আয়াক্স। ১৫ মিনিটে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন ফন দে বেক। কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয়ী ম্যাচেও এক গোল করেছিলেন ফন দে বেক।

বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পার্সরা। কিন্তু কার্যত ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে হ্যাটট্রিক জয়ে তুলে নিয়েছেন আয়াক্সের তরুণেরা। কাজটা সেরে নেন ম্যাচের ১৫ মিনিটেই। তাদিচের পাস থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেখেশুনে হুগো লরিসকে পরাস্ত করেন বেক। লন্ডন থেকে বরং আরও বড় জয় নিয়ে দেশে ফিরতে পারতেন টেন হাগের শিষ্যরা। যদি না ডেভিড নেরেসের শট সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসত। অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে আয়াক্স গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার তেমন কোনো পরীক্ষায় নিতে পারেনি মাউরিসিও পচেত্তিনো দল। আসলে পরীক্ষা নেওয়ার মতো ক্ষুরধার অস্ত্রই ছিল না পচেত্তিনোর ভান্ডারে। দলের দুই প্রধান ফরোয়ার্ডের একজন হ্যারি কেন চোটের জন্য বাইরে ও মিন সন নিষিদ্ধ।

টটেনহামের আশাবাদী সমর্থকদের জন্য এখনো তো ফিরতি লেগের ম্যাচটি পড়েই আছে। তবে রূপকথার গল্প লিখে ফাইনালে খেলতে হলে ৮ মে আয়াক্সের মাঠে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে স্পার্সদের।