লাওসের যে খেলোয়াড়টি বাংলাদেশের সামনে 'ফণী'

লাওসের ৮ নম্বর জার্সি পরা পে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। ছবি: প্রথম আলো
লাওসের ৮ নম্বর জার্সি পরা পে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। ছবি: প্রথম আলো
>

১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লাওস। সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের মাথা ব্যথার মূল কারণ প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকার পে। 

ফুটবলে ‘ওয়ান ম্যান টিম’ কথাটা খুব বেশি খাটে না। তবে দলে দু-একজন প্রতিভা থাকতেই পারেন, যাদের বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও গোল করার দক্ষতায় প্রকৃতিপ্রদত্ত একটা ব্যাপার থাকে। কঠিন জিনিসগুলোকে যারা অনেক সহজ ভাবে করতে পারেন। লাওস অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের দলের কেওটা পে তাদেরই একজন। লাওস দলটা পুরোপুরিই পে-নির্ভর। তাই মাঠে নামার আগে বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছে ‘পে আতঙ্ক’। অনেকেই বলছেন ফর্মে থাকা পে যেন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ওপর এই কতটা শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েন, এখন দেখার সেটিই।
পের প্রতিভা বোঝা গেছে লাওসের প্রতিটি ম্যাচেই। টুর্নামেন্টে ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের গোল ৭। আর পে একাই লাওসের পক্ষে করেছেন ৭ গোল। এর মধ্যে সেমিফাইনালে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়ের ম্যাচে একাই করেছেন চার গোল। তাঁর গোলের খিদেটাই আসলে বাংলাদেশের শঙ্কার বিষয়। নিজ দলে পে’র মতো এক ফরোয়ার্ড পেয়ে লাওস কোচ ভংমিসে সোবেখাম তাই নির্ভার, ‘পে নিশ্চয় চেষ্টা করবে ফাইনালে দলকে জেতাতে।’
এ আতঙ্ক কাটিয়ে ম্যাচ বের করার কৌশল নিয়ে ট্রেনিংয়ে বিশেষভাবে কাজ করেছে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ। তাদের কৌশলের বড় একটা অংশজুড়ে থাকবেন পে, সেটা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানি । কৌশলে লাওস ফরোয়ার্ড আটকে গেলে স্বাগতিকদের শিরোপার পথে কাঁটা দূর হয়ে যায় অনেকখানি।
তবে ফাইনালে জিততে হলে একজন কে আটকে রাখলেই চলবে না। পের সঙ্গে ঘুরে ফিরে আসছেন লাওসের অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড আফাতসালা এবং ডিফেন্ডার ইনথাফোনে । প্রথম জন ডেডবল বিশেষজ্ঞ ও রক্ষণভাগ সামলে ওপরে উঠে গোল করতে দ্বিতীয়জনের জুড়ি নেই। দুজনের নামের পাশেই দুইটি করে গোল। তাই ফাইনালে স্বাগতিকদের রক্ষণভাগের খেলাটা হয়ে যাচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত তিন ম্যাচে গোলরক্ষক রূপনা চাকমা ও রক্ষণভাগকে তেমন পরীক্ষা দিতে হয়নি। আজ হবে পরীক্ষা এবং তাতে উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ, ‘রক্ষণভাগে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। লাওস দলের পের ওপরে আমাদের বিশেষ নজর থাকবে। তবে শুধু পেই নয়, আরও দুজন ভালো ফুটবলার আফাতসালা ও ইনথাফোনে আছেন । তাদের নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা আছে।’

কোচের সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটা করতে পারেন আঁখি খাতুন, শিউলি আজিমরা । সে ফল প্রকাশিত হবে সন্ধ্যায়।