ডি ভিলিয়ার্সের কাছে বিশ্বকাপের চেয়ে আইপিএল ভালো

এবি ডি ভিলিয়ার্স। ছবি: এএফপি
এবি ডি ভিলিয়ার্স। ছবি: এএফপি
আইপিএলকে বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো টুর্নামেন্ট বললেন এবি ডি ভিলিয়ার্স

বিশ্বকাপে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেরা স্মৃতি কোনটি? অনেকে টেনে আনবেন গত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৬ বলে তাঁর ১৬২ রানের ইনিংসটি। ভুল! ১৯৯২ বিশ্বকাপে জন্টি রোডসকে পাখির মতো উড়ে ইনজামাম উল হককে রান আউট করতে দেখেছিলেন আট বছরের ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেললেও ওই রান আউটের মতো তাঁর মনে দাগ কাটেনি। সম্ভবত দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি বলেই হয়তো এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ওটাই ডি ভিলিয়ার্সের সেরা স্মৃতি। কে জানে! তবে ডি ভিলিয়ার্সের কাছে বিশ্বকাপ কিন্তু ততটা গুরুত্ব বহন করে না, যতটা আইপিএল।

টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আরও মনোযোগী হতেই গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু আইপিএল থেকে এবার আগেভাগেই বিদায় ঘটেছে তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। বিলাস দ্রব্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ম ব্লার দূত হয়ে কিছুদিন আগে দিল্লিতে গিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। সেখানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘লাইভমিন্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এই প্রোটিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, নানা দেশের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোর মান কেমন?

ডি ভিলিয়ার্সের জবাব, ‘সত্যি বলতে, আইপিএলের ধারেকাছে কিছুই নেই। ভারতে আছি, আইপিএলে খেলছি বলে মনে হতে পারে এখন কথাটা বলা সহজ। কিন্তু বিশ্বে আরও অনেক জায়গার টুর্নামেন্টে খেলেছি। আমার মতে এটা (আইপিএল) বিশ্বকাপের চেয়েও ভালো। যত জায়গায় খেলেছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে অবিশ্বাস্য। তবে সব সময় না। এখন যে পর্যায়ে আছে প্রথম পাঁচ বছর এর ধারেকাছেও ছিল না।’

এবার বিশ্বকাপে খেলতে না পারায় ডি ভিলিয়ার্সের মনে কোনো আক্ষেপ নেই। তাঁর ভাষায়, ‘খেলতে পারলে ভালোই লাগত। ভালো ফর্মেই তো আছি। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই আমার।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে না পারার অভাবও ডি ভিলিয়ার্সকে পোড়ায় না। ওয়ানডেতে দ্রুততম ৫০, ১০০ ও ১৫০ রানের রেকর্ডধারী এই ব্যাটসম্যানের ভাষায়, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিস করি না।’